সৌদি আরবও ‘জড়াবে’ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে

পাকিস্তান ও সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুসারে, ভারত যদি যুদ্ধ ঘোষণা করে তাহলে ইসলামাবাদকে বাঁচাতে রিয়াদ এগিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে  তিনি একথা বলেন।

ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু হলে তাতে সৌদি আরব জড়াবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে  আসিফ বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’

মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের ‘ধারা ৫’ এর সঙ্গে সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তির তুলনাও করেন তিনি।

‘সম্মিলিত প্রতিরক্ষা’ নামে পরিচিত ন্যাটোর ওই ধারাটিতে বলা হয়েছে, জোটের কোনো সদস্য হামলার শিকার হলে জোটের অন্যদের ওপর হামলা বলে ধরা হবে।

আসিফ জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে তাদের চুক্তিটি ‘আক্রমণাত্মক’ নয়, ‘প্রতিরক্ষামূলক’। তিনি বলেন, ‘যদি সৌদি আরব কিংবা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হয়, আমরা একসঙ্গে এর মোকাবেলা করব।’

এ ছাড়া তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘কোনো আগ্রাসনের জন্য এই চুক্তিকে ব্যবহারের ইচ্ছা আমাদের নেই।

তবে দুই পক্ষের কেউ যদি হুমকির মুখে পড়ে, তাহলে ব্যবস্থাগুলো স্পষ্টভাবে কার্যকর হবে।’
তবে এই ‍চুক্তির আওতায় সৌদি আরব পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রও পাবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আসিফও এ বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি।

টেলিভিশনে এক টক শোতে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বলেছিলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী আমাদের সব ধরনের সক্ষমতা তাদেরও পাওয়ার সুযোগ থাকবে।

তবে পরে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্রের কথা বিবেচনাতেই নেই।’

যদিও পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের নীতি অনুসারে, শুধু ভারতের বিরুদ্ধেই ওয়ারহেড ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছে তারা।

এই চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান এখন পারমাণবিক সুরক্ষা দিতে বাধ্য কি না জানতে চাইলে এক জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘এটি একটি সর্বাত্মক প্রতিরক্ষামূলক চুক্তি, যা সব ধরনের সামরিক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে।’

এই চুক্তিতে পাকিস্তানের জন্য ইতিবাচক দিক হলো, শক্তিশালী আর্থিক সমর্থন আর একটি ‘আরব দেশ জোট’ গঠনের সম্ভাবনা। অন্যদিকে সৌদি আরবের জন্য এর অর্থ একটি ‘পারমাণবিক ঢাল’।

সম্পর্কিত খবর