ঘরের মেঝেতে কবর খুঁড়ে স্ত্রীকে জ্যান্ত কবর দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের মসজিদ বাড়ি গ্রামে সোমবার গভীর রাতে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, ৫ বছর পূর্বে ওই গ্রামের আ. সালাম বেপারীর ছেলে মেহেদী হাসানের সঙ্গে মুলাদী উপজেলার ছবিপুর গ্রামের শাহজাহানের মেয়ে মিতুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে হয়। ওই সময় মেহেদী ঢাকার জিঞ্জিরায় সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবসা ও মিতু ৮ম শ্রেণীতে পড়তো। তাদের সংসারে দেড় বছর বয়সী হাফিজা নামের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। মেহেদী বর্তমানে বানারীপাড়া থানার সামনে লিমন টেলিকমে থেকে নিউ ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবসা করে আসছে। সম্প্রতি সে পরকীয়া প্রেমিকাকে উপজেলার মসজিদ বাড়ি গ্রামের নিজ বাড়িতে তুললে এনিয়ে স্ত্রী মিতুর সঙ্গে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। পরে ওই পরকীয়া প্রেমিকাকে অন্যত্র রেখে তাকে মেনে নেওয়ার জন্য স্ত্রী মিতুর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো।
এর ধারবাহিকতায় রোববার রাতে মিতুকে সে বেদম মারধর করে।
সোমবার সন্ধ্যায় মেহেদী আগাম বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে আগেভাগে ঘুমাতে বললে তার সন্দেহ হয়। মিতু ঘুমানোর ভান করে দেখতে পায় মেহেদী ঘরের মেঝে খুঁড়ছে। তাকে ওই স্থানে মেরে অথবা জ্যান্ত কবর দেওয়া হতে পারে এ আশঙ্কায় সে ডাক চিৎকার দিলে বাড়ির অন্য ঘরের লোকজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ঘরের মেঝে খোঁড়া অবস্থায় মেহেদীকে দেখতে পেয়ে তাকে রাতভর আটক রেখে সকালে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. খলিলুর রহমান জানান স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিলমিশ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।