স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবীমাসহ স্বাস্থ্যখাতে আরও বাজেট বৃদ্ধির কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। স্বাস্থ্যখাতের আওয়ামীলীগ সরকারের নেয়া নানা অর্জনগুলো তুলে ধরেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একইসাথে করোনায় গত দেড় বছর স্বাস্থ্যখাতে কাজের অগ্রগতিতে নানা সমস্যার কথাও বলেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য বর্তমান সরকার অনেক কিছুই করছে। স্বাস্থ্য বীমাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর আইন প্রণয়ন করা গেলে সেটি স্বাস্থ্য সেবায় একটি যুগান্তকারী কাজ হবে।
১৮ অক্টোবর দুপুরে সচিবালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শীর্ষক এক বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান।
সভায় অন্যান্য আলোচকরা দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে মানুষের স্বাস্থ্য বীমা করার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় কীভাবে পকেট এক্সপেনডিচার কমানো যায় সে বিষয়ে কাজ করতে সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন জাহিদ মালেক।
এসময় জাহিদ মালেক জানান, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ধারণক্ষমতা থেকে ৩ গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। গত ২১ বছরের হিসাব করলে স্বাস্থ্যখাতের বাজেট ১২ গুণ বেড়েছে। তবে, বিশ্বের উন্নত দেশের দিকে তাকালে দেখা যায়, সেসব দেশের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বহুগুণ বেশি।
মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোতে ধারণক্ষমতার ৩ গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা সেবা নিলেও আমরা চিকিৎসা সেবায় মোট জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক নয় ভাগ (০.৯) ব্যয় করছি। যেখানে উন্নত দেশগুলো জিডিপির ৫ ভাগ বা তারও বেশি ব্যয় করছে।
তিনি বলেন, ২০০০-২০০১ সালে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট ছিল ২ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। বর্তমানে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। গত ২১ বছরের হিসাব করলে স্বাস্থ্যখাতের বাজেট ১২ গুণ বেড়েছে। তবে, বিশ্বের উন্নত দেশের দিকে তাকালে দেখা যায়, সেসব দেশের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বহুগুণ বেশি।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, সাবেক আইন সচিব, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, এনডিসি, জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট) এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. শাহজাহানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।