শরীরের ওজন বাড়ছেই। সময় থাকতে সচেতন হন। ওবেসিটি যৌন জীবনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এটা এক রকম অভিশাপও হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এক জায়গায় বসে কাজ নানা রকম বিপদ ডেকে আনছে। সেই সঙ্গে প্রভাব পড়ছে যৌন সম্পর্কেও (Sex Life)। আসলে অতিরিক্ত ওজন বা ওবেসিটি (Obesity) পুরুষ ও মহিলা- উভয়ের ক্ষেত্রেই শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে ব্যক্তিগত সম্পর্কেও। তাই ওজন বাড়তে দিলে চলবে না। ফিট থাকতে হবে। জেনে নেওয়া যাক, ওবেসিটি কী ভাবে যৌন জীবনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
যৌন ইচ্ছে কমে যাওয়া:
পুরুষ ও মহিলা- উভয়ের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে ঘনিষ্ঠ হওয়ার ইচ্ছেটাও চলে যায়। আসলে শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে ওবেসিটির কারণে এই হরমোনের মাত্রা কমে যায়। শরীরে মেদের পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে বুঝতে হবে যে, শরীরে সেক্স হরমোন বাইন্ডিং গ্লোবিউলিন (SHBG)-এর মাত্রাও বেশি রয়েছে। আর এই হরমোন টেস্টোস্টেরনের কার্যকারিতা রুখে দেয়। ফলে শারীরিক সম্পর্কের ইচ্ছেও চলে যায়।
যৌন সম্পর্কে শারীরিক সুখ হ্রাস:
মহিলাদের ক্ষেত্রে কোলেস্টেরল বাড়লে ক্লিটোরিসের রক্তবাহী নালিগুলি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তার ফলে যোনিতে রক্ত সঞ্চালনও অনেকটা কমে যায়। আর এর প্রভাব পড়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে। কী ভাবে? যোনিতে কম রক্ত সঞ্চালন হলে অর্গাজমের হারও কমে যায়।
ইরেকটাইল ডিজফাংশনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি:
পুরুষদের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রধান যে সমস্যাটা হয়, সেটা হল- ইরেকটাইল ডিসফাংশন। মূলত কোলস্টেরল আর ওবেসিটি একসঙ্গে থাকলে যৌনাঙ্গের রক্তবাহী ধমনীগুলি বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে বার বার চেষ্টা করলেও ইরেকশনের জন্য যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
সীমিত ভঙ্গি ও অবস্থান:
শারীরিক সুখ বা উত্তেজনা অনেকটাই নির্ভর করে পুরুষ সঙ্গী ও মহিলা সঙ্গীর অবস্থান ও ভঙ্গির উপর। যৌনতার ক্ষেত্রে এক-এক জনের এক-এক রকম অবস্থান ও ভঙ্গি পছন্দ। আবার অনেকে অবস্থান বদলে যৌনতা উপভোগ করেন। তবে শরীরের ওজন বেড়ে গেলে কিন্তু সেই ব্যাপারটিতে একটি অদৃশ্য গণ্ডি চলে আসে। তখন যে কোনও ভঙ্গিতে অথবা যে কোনও অবস্থানে ঘনিষ্ঠ হওয়া যায় না। শারীরিক নমনীয়তা না থাকলে এ সব ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।