‘মিতু হত্যা মামলা : শুনানিতে না আসায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা’

চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এই পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে গত ১১ অক্টোবর হাইকোর্টের দেওয়া আগাম জামিন শেষে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন ভোলা। আদালত মূলনথি তলব করে পরবর্তীতে জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করে। কিন্তু আজ শুনানিতে ভোলা হাজির হননি। তারপরই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিতু হত্যা মামলার আসামি ভোলা হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহ আগাম জামিন শেষে আত্মসমর্পণ করে। তবে মূলনথি না থাকায় শুনানি হয়নি। মূলনথি তলব করা হয়েছে। মূলনথি আসলে আজ শুনানিতে হাজির হয়নি ভোলা। তাই তার জামিন আবেদন খারিজ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর সন্তোষ কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের বছর ২০১৭ সালে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন প্রথম এ খুনে বাবুলের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পিবিআই’র ওপর। এরপর ধীরে ধীরে জট খুলতে থাকে চাঞ্চল্যকর এ মামলার। চলতি বছরের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ১২ মে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।