আগামী মার্চের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইনের বাস্তবায়ন শুরু হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।
চাকুরী জাতীয়করণের দাবিতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন অসন্তোষ বিরাজ করছে। চাকরি বাজস্বকরণ নিয়ে বিভিন্ন সময় রাজপথে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেছেন কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিনিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)। এখন ট্রাস্ট আইন বাস্তবয়নের মধ্য দিয়ে তাদের ক্ষোভ দূর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইনের বিধি-প্রবিধি তৈরি করার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আইনটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে হেলথ প্রোভাইডাররা দেশে প্রচলিত অন্যান্য সংবিধিবদ্ধ সংস্থায় কর্মরত কর্মচারীদের ন্যায় তাদের স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতির সুযোগ, গ্র্যাচুইটি এবং অবসরভাতাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
এ্যাসোসিয়েশনের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দফতরে ১৪ হাজার সিএইচসিপির চাকরি জাতীয়করণের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছি। কিন্তু সন্তোষজনক সাড়া না পাওয়ায় বিভিন্ন সময় রাজপথে নেমেছি। আমাদের সেই আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে আমরা সিএইচসিপিরা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার কাজটি করে থাকি। আমরা নিরলসভাবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবাগ্রহীতা ও সেবার মান বেড়েই চলেছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রকল্প। ক্লিনিকের সুফল ভোগ করছেন দেশের সাধারণ মানুষ। বাড়ির পাশেই বিনামূল্যে মিলছে স্বাস্থ্যসেবা। কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমানে দেশের স্বাস্থ্যসেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেবা প্রদান করে যাচ্ছি, কিন্তু আমরা নিজেরা এই প্রকল্পকে অবলম্বন করে ভবিষ্যত জীবন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ছি। তাই এই প্রকল্পের আওতায় আমাদের চাকরির স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা চাই।
কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, ক্লিনিকের সুফল ভোগ করছে দেশের সাধারণ মানুষ। বাড়ির পাশেই বিনামূল্যে মিলছে স্বাস্থ্যসেবা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রকল্প। কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমানে দেশের স্বাস্থ্যসেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগণ কাছাকাছি কমিউনিটি ক্লিনিক হতে সমন্বিত স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা ও পুষ্টিসেবা পাচ্ছেন। এটি জনগণ ও সরকারের যৌথ উদোগে বাস্তবায়িত একটি কার্যক্রম। কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা কার্যক্রম আরও গতিশীল, মানসম্মত ও স্থায়িত্ব সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট’ গঠন করেছে সরকার।