৩ হাজার ১৪০ টন ওজন ক্ষমতাসম্পন্ন ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ স্প্যানটিকে নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রেনবাহী জাহাজ ‘তিয়ান-ই’ সকালে খুঁটির উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে মঙ্গলবার জাজিরা প্রান্তের পদ্মাসেতুর ২২ ও ২৩ নম্বর খুঁটির ওপর ৪’ডি নম্বরের ১৭ তম স্প্যান বসানো হবে।
স্প্যানটি দু’টি খুঁটির ওপর বসানোর পর পদ্মাসেতুর মূল অবকাঠামো ২৫৫০ মিটার বা দেড় কিলোমিটার অতিক্রম করবে বলে প্রকল্পের একাধিক প্রকৌশলী নিশ্চিত করেছেন।
দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার জাজিরা প্রান্তের ২২ ও ২৩ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হবে ৪’ডি নম্বরের ১৭ তম স্প্যান।
দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা আরও জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মাসেতু প্রকল্পের কর্মযজ্ঞ। তাই ১৭ তম স্প্যানটি মঙ্গলবার বসানো হয়ে গেলে আগামী ৪ অথবা ৫ ডিসেম্বর ১৭ ও ১৮ নম্বর খুঁটির ওপর ১৮ তম স্প্যান স্থাপনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে। পদ্মা মূল সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ অ্যান্ড কোম্পানি সেতু বিভাগকে এভাবেই তাদের কর্মকাণ্ডের তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে চীন থেকে আরও দু’টি স্প্যান বাংলাদেশে পৌঁছেছে। সমুদ্রপথে গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে স্প্যান দু’টি মংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এখন প্রয়োজনীয় নিয়মাবলী মেনেই স্প্যান দু’টিকে নিয়ে মাওয়া প্রকল্পের উদ্দেশে রওনা হবে ভেসেল জাহাজ।
উল্লেখ্য, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুর অবকাঠামো কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে। নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন ও উপর দিয়ে চলবে বিভিন্ন যানবাহন।