দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শুরু হওয়া এসএমই ট্রেডিং উদ্বোধনী উদযাপন করেছে নাসডাক। তারা আমেরিকার নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের বিলবোর্ডে ডিএসই’র এসএমই ট্রেডিং মার্কেট উদ্বোধনীর প্রদর্শনী তুলে ধরেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ডিএসই’র এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের উদ্বোধন করা হয়। এতে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ওইদিন ডিএসই’র এসএমইতে ৬ কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়। এর মধ্যে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক ও অরিজা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ রয়েছে। এছাড়া ওটিসিফেরত অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিসিং মিলস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস, হিমাদ্রি ও বেঙ্গল বিস্কুট লিমিটেড রয়েছে।
ডিএসই’র এই এসএমই বোর্ডের উদ্বোধনীকেই উদযাপন করেছে স্টক এক্সচেঞ্জটির সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নাসডাক। যা টাইমস স্কয়ারের বিলবোর্ডে তুলে ধরে।
বিভিন্ন পক্ষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় এমন স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ‘স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম’ নামে আলাদা বাজার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্প মূলধনের কোম্পনির জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপ কোম্পানিজ) রুলস-২০১৬ প্রণয়ন করে। তবে ২০১৮ সালে এর কিছু বিধির সংশোধন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরপর ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) স্মল ক্যাপ মার্কেট (এসএমই) প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন করে। এর আড়াই বছর পর শেয়ারবাজারে এসএমই প্রতিষ্ঠানের লেনদেন শুরু হলো।
‘স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম’ নামের আলাদা বাজারে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে পুঁজি উত্তোলন করতে হবে। এসএমই উদ্যোক্তারা পুঁজিবাজারের মাধ্যমে ৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করতে পারবেন। এই বাজারে শুধু কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা লেনদেন করতে পারবেন।
কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর বলতে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে এমন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ নিট সম্পদধারী ব্যক্তিকে বোঝায়। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর চিহ্নিত করতে সিডিবিএল ভিন্ন ধরনের বিও হিসাব প্রণয়ন করবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এই বাজার উন্মুক্ত থাকবে না। বিদ্যমান স্টক ব্রোকারদের মাধ্যমে বাজারে লেনদেন পরিচালিত হবে।
এই বাজারে ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে পারবে না এবং শেয়ারধারীদের শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লক-ইন থাকবে। বাজারে লেনদেনের তারল্য বজায় রাখার জন্য ইস্যুয়ার কোম্পানিকে কমপক্ষে ৩ বছরের জন্য মার্কেট মেকার নিয়োগ করতে হবে।