একান্ত আলোচনায় ডা. কিশোর বিশ্বাস
জীবনের অপর নাম প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স

আদম মালেক : ডা. কিশোর বিশ্বাস তারুণ্যের অহংকার। বীমা পেশায় ক্যরিয়ার গড়া নতুনদের জন্য- আইকন তিনি। চিকিৎসা শাস্ত্র শিক্ষিত এই তরুণ এখন প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা। বীর চট্ট্রলায় তাঁর জন্ম। শৈশব-কৈশর কেটেছে সেখানে। সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যায়ন করেন। পরে চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
জাতীয় অর্থনীতি বিষয়ক অনলাইন নিউজ পোর্টাল অর্থবাংলাডটকম এর সাথে একান্ত আলোচনায় বললেন- অনেক অনেক জীবন বাঁকের গল্প-কথা। অতীত, বর্তমান আর ভবিষৎতের স্বপ্ন বুনন সদা হাস্যজ্জল এই স্বল্প বয়সী বীমা ব্যক্তিত্বের চোখে মুখে। জীবনে একটাই চাওয়া তাঁর, যেদিন বাংলাদেশের সেরা বীমা কোম্পানীতে রুপ নিবে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী, সেদিন হবে প্রকৃত অর্জন, হাসবেন সুখের হাসি। সে লক্ষ্যে অনবরত রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ফলে স্বাস্থ্য বীমা এবং গ্রুপ বীমায় পেয়েছেন সফলতা।

কিভাবে বীমা পেশায় আসলেন- প্রশ্ন সাথেই চায়ের চুঁমুকে সুন্দর হাসি দিয়ে উত্তর করলেন-
তিনি যখন চিকিৎসা পেশায় জড়িত, তখন দেখলেন বর্হিবিশ্বে বীমা খাতে অনেক ডাক্তার কাজ করছেন এবং তাদের মেধা দিয়ে মানুষের প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট তৈরী করে মানুষের সেবা করছেন। যেহেতু একজন ডাক্তারই বলতে পারেন কোন জীবন বীমার স্বাস্থ্য বীমাটি মানুষের জন্য প্রয়োজন এবং স্বাস্থ্যবীমার সেবা প্রদান একজন ডাক্তার এর পক্ষে সহজ তাই কোম্পানির স্বার্থ এবং গ্রাহক স্বার্থ দুটোই একজন ডাক্তার বাস্তবায়ন করতে পারেন। এই ধারণা থেকে সারা বিশ্বে অনেক ডাক্তার এই পেশায় জড়িত। তাই তিনিও তাদের দলে ভিড়েছেন।

পেশাগত জীবনে একজন চিকিৎসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ডা. কিশোর বিশ্বাস তার ভবিষ্যৎ নির্মাণে বেছে নিয়েছেন বীমা। ২০১০ সালে মেটলাইফের মেডিকেল কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ২০১২ সালে প্রগতি লাইফের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফে যোগদান করেন। ছিলেন প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বীমা কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ডা. কিশোর বিশ্বাসের দায়িত্ব কর্তব্য ও কর্মতৎপরতা বিবেচনায় প্রথমে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) পদে পদন্নতি প্রদান করেন। ২১ জুন, ২০২০ থেকে তিনি বীমা কোম্পানিটির ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেই থেকে ধারাবাহিক পথ চলায় ছুটে চলছেন আগামীর অনন্ত এক যাত্রা পথে।

এখন রাত-দিন একটি ভিশন নিয়ে কাজ করছেন, প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের শীর্ষ বীমা কোম্পানী হিসেবে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন। পরিচালনা পর্ষদের দক্ষতা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রচেষ্টা, গ্রাহকদের অন্তরিকতা, নিয়ন্ত্রণ সংস্থার গাইড লাইন- সর্বপরি সবার চেষ্টায় প্রোটেক্টিভ লাইফ নতুন আলোয় আলোক ছড়াবে, এ্টাই তিনি বিশ্বাস করেন।

প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান যেখানে এই নাম এবং লোগো থাকবে গ্রাহকদের জন্য একটি বিশ্বাসের কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে। এই বিশ্বাস হবে জমা কৃত আমানতের, এই বিশ্বাস হবে জীবিত এবং মৃত্যুর পর দাবী ও প্রাপ্তির।
আমাদের চা-পর্ব শেষ। আলোচনার নানান বাঁকে, কথার এক প্রান্তে এসে একটু আবেগ তাড়িত হয়ে বললেন- ‘‘আমৃত্যু বীমা পেশায় থাকতে চাই, এবং শেষ নি:শ্বাস যেন এখানেই হয়। আমার জীবনের অপর নাম প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

কেন এতো ভালোবাসা- ব্যাখ্যা দিলেন নিজেই। বললেন- এর অন্যতম বড় কারণ হলো- ‘‘একজন ভালো পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী মানুষষের সান্নিধ্য লাভ করেছি। যিনি সম্মান, স্নেহ, মায়া, মমতা আর ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখেছেন আমাদের সবাইকে, পুরো প্রোটেক্টিভ পরিবারকে। যার হাত ধরে এই নতুন প্রজন্মের জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কো. লি. সফলতার পথে এগিয়ে চলছে, তিনি হলেন- তারুণ্যের অহংকার সম্মানিত চেয়ারম্যান সামীর সেকান্দর। ’’