নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে নিজের মা বলেই সম্মোধন করে থাকেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। বিভিন্ন সময় তাদের দু’জনকে একসঙ্গে দেখাও গেছে। পরীমণির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সবসময় পাশে ছিলেন এই নারী নির্মাতা। মাদক মামলায়পরীমণি আটকের পর জিজ্ঞাবাদের জন্য চয়নিকাকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো ডিবির কার্যালয়ে।
সে সময় বিষয়টি নিয়ে অনেক জল্পনা হলেও ডিবি জানিয়েছিলেন কেবল জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা।
এরপর পর থেকে পরীমণির পাশে আর দেখা যায়নি এই নির্মাতাকে। পরীকে নিয়ে একটা ওয়েব ফিল্ম নির্মাণের কথা থাকলেও সেটার শুটিংয়েরও কোনো খবর দিতে পারছিলেন না তিনি।
কারাগার থেকে জামিনে পরীমণি মুক্ত হওয়ার পর অনেকের সঙ্গে দেখা গেলেও দেখা যায়নি চয়নিকার সঙ্গে। এবার দেখা গলো। কারামুক্তির প্রায় দুই মাস পর।
বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে পরীমণির নতুন বাসায় নায়িকার পাশে আবার দেখা গেলো চয়নিকাকে। বিশেষ কারণেই তাদের আবার একসঙ্গে হওয়া।
পরীমণি অভিনীত ‘প্রীতিলতা’ ছবির নির্মাতা রাশিদ পলাশের ‘পদ্মপুরাণ’ ছবিটি আজ মুক্তি পেয়েছে। ছবিটির মুক্তি উপলক্ষে শুভ কামনা জানিয়ে পরীমণির বাসায় ধারণ করা একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন পরীমণি। সে ভিডিও বার্তায় পরীমণির পাশে বসে আছেন চয়নিকা। এ সময় পরীমণি অভিনীত ‘অ্যাডভেঞ্জার অব সুন্দরবন’ ছবির নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েলও ছিলেন।
ভিডিও বার্তায় ‘পদ্মাপুরাণ’ নিয়ে পরীমণি বলেন, রাশিদ পলাশের সঙ্গে আমার একটি সিনেমায় কাজ হচ্ছে, যেটার নাম ‘প্রীতিলতা’। সবাই জানেন। সেখান থেকে আমাদের দু’বছরের জার্নি। সেই সুবাদে আমি জানতে পেরেছি, পদ্মাপুরাণ সিনেমাটি পুরো টিমের বড় ধরনের ত্যাগ ও প্রতীক্ষার একটি সিনেমা। এ কারণে আমাদের সবার দায়িত্বটাও একটু ভারী। আমরা সবাই চাই, শুক্রবার দলে দলে হল ভরে যাক। কোথাও একটা টিকিট না থাকুক। অগ্রিম টিকিট কাটতে হয় যাতে আমাদের।’
‘পদ্মাপুরাণ’ ছবিটি স্টার সিনেপ্লেক্স (বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও সনি স্কয়ার মিরপু্র), শ্যামলী সিনেমা, যমুনা ব্লকবাস্টার (যমুনা ফিউচার পার্ক), সিনেস্কোপ (নারায়ণগঞ্জ), সুগন্ধা সিনেমা (চট্টগ্রাম) এ মুক্তি পেয়েছে।
ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদিয়া মাহি, প্রসূন আজাদ, শম্পা রেজা, জয়রাজ, সুমিত সেনগুপ্ত, কায়েস চৌধুরী, সূচনা শিকদার, রেশমী, হেদায়েত নান্নু, আশরাফুল আশিষ, সাদিয়া তানজিন প্রমুখ।