চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। উন্নয়নের যাত্রায় দুই দেশ একসাথে এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে। তবে, সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র অনুসন্ধান করা এখনো বাকি আছে। বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে অভিজ্ঞতা এবং সম্পদ ভাগ করে নেয়ার মাধ্যমে চীন সবসময় দেশটির পাশে থাকবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এমন আশ্বাস দিয়েছেন। বুধবার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চীন অ্যালামনাই (অ্যাবকা) এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা এবং দারিদ্র দূরীকরণ বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে সরকার এবং জনগণ প্রতিশ্রুতি এবং দৃঢ়তার সাথে কাজ করে দেশ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে পারে এবং মাত্র চার দশকের ব্যবধানে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাংক যেমন বলেছে “বিশ্বব্যাপী, বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণের মডেল”।
২০০০ সাল থেকে, বাংলাদেশ দারিদ্র্যকে কমিয়ে অর্ধেকে নিয়ে এসেছে, আড়াই কোটিরও বেশি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনেছে। সরকারের যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং বাংলাদেশিদের পরিশ্রমের কারণে মহামারী চলাকালীনও দেশটির সাফল্যের গল্প বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত হচ্ছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রী ডা: দীপু মনি, বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বক্তব্য রাখেন।