বর্ণাঢ্য আয়োজনে চলছে বীমা মেলা

 

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে খুলনা চলছে দু’দিনব্যাপী বীমা মেলা । শুক্রবার সকালে উৎসব মূখর পরিবেশে র‌্যালী মাধ্যমে মেলা’র আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।   খুলনা সার্কিট হাউজ থেকে শুরু হয়ে র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।

 

 

 

অনুষ্ঠানে খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, বীমা কোম্পানিগুলোকে আইনকানুন মেনে, গ্রাহক সেবার বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

 

 

 

তিনি বলেন, উন্নত দেশে বীমা নিয়ে সাধারণ মানুষ খুব সচেতন থাকেন। তারা সবার আগে বীমা টাকা পরিশোধ করেন। আমাদের দেশে গ্রাহকদের মাঝে এ নিয়ে অনিহা রয়েছে। বীমা কোনো চিটার-বাটপারি প্রতিষ্ঠান নয়। এটি একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান।

 

 

 

 

শুক্রবার খুলনা বীমা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী।

 

 

শনিবার দিনব্যাপী চলবে মেলা। সন্ধ্যায় থাকছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আইডিআরএ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ আয়োজিত এ মেলার সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম এবং বীমা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

 

 

 

বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সরকারি বেসরকারি লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর মূখ্য নির্বাহীসহ কর্মকর্তা ও কর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন মেলা প্রাঙ্গনে।

 

সকাল থেকেই মেলায় বীমা গ্রাহক ও দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর ছোঁয়া লেগেছে বীমা মেলার প্রতিটি স্টলে।

 

 

 

প্রধান ফটক থেকে শুরু করে স্টলগুলোর ব্যানার, ফেস্টুনে শোভা পাচ্ছে মুজিব শতবর্ষের লোগো। মেলায় আসা দর্শনার্থীদের কাছে বাড়তি কৌতুহল ও আগ্রহ তৈরি করেছে বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষের লোগো।

 

 

 

যা অন্যবারের বীমা মেলা থেকে এবারের বীমা মেলাকে ভিন্নতা এনে দিয়েছে।

 

 

খুলনার এ মেলায় ৭৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এ বীমা মেলা চলবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।