অনশনে প্রেমিকা, পালিয়েছে প্রেমিক!

শহীদুল ইসলাম, তারাগঞ্জ রংপুর:

রংপুরের তারাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ১১ দিন ধরে অনশন করছে এক স্কুল ছাত্রী,
প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে ওই স্কুল পড়ুয়া প্রেমিক।
ঘটনাটি ঘটেছে তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের মুকুলের বাজার পঞ্চায়েত পাড়া গ্রামে।
স্থানীয় লোকজন ও ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় গত নয় মাস পূর্বে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের মুকুলের বাজার পঞ্চায়েত পাড়া গ্রামের আব্দুস সালাম এর পুত্র বরাতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র আলামিনের ।

এই সুবাদে উক্ত মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় দেখা করেন আলামিন এবং দেন বিয়ের আশ্বাস।
এরপর বিয়ের জন্য ওই স্কুল ছাত্রী আলামিন কে চাপ দিলে এতে আলামিন রাজি না হওয়ায় গত ২৮শে সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রী প্রেমিক আলামিনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন। প্রেমিকার উপস্থিতিতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান আলামিন। এরপর আলামিনের পরিবারের সদস্যরা ওই স্কুল ছাত্রী কে তার অভিভাবকের জিম্মায় তার বাড়িতে দিয়ে আসেন।
কিন্তু ২৯শে সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রী আবার আলামিনের বাড়িতে চলে আসে। সেদিন থেকেই বিয়ের দাবিতে আলামিনের বাড়িতে অবস্থান করছেন। আজ সকাল ৯ ঘটিকার সময় হাড়িয়ারকুটি মুকুলের বাজার পঞ্চায়েত পাড়া গ্রামে আলামিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রী বাড়ির উঠানে বসে আছে, কথা হয় তার সাথে সে বলে বিভিন্ন সময় আমরা দুজন অনেক জায়গায় ঘুরতে গেছি, সেময় আলামিন আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক থাকায় আমার পরিবার অনেক মারধরও করেছে, তবুও আমি সম্পর্ক ছিন্ন করিনি।

এ ব্যাপারে আলামিনের বাবা আব্দুস সালাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হঠাৎ করে এই মেয়ে আমার বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছে এবং আমার ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক দাবি করছে। আমার ছেলে ঢাকায় চাকরি করে ওই মেয়ের পরিবারকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তাই বাধ্য হয়ে ওই মেয়েকে বাড়িতেই রেখেছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়ের বাবা অভিযোগ করে বলেন জানতে পেরেছি আমার মেয়ের সঙ্গে আলামিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, সেই সূত্র ধরে আমার মেয়েকে আলামিন এর পরিবার বউ করে নেবে মর্মে আমার কাছে চার লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

সয়ার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আজম কিরণ বলেন, লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি ওই মেয়ের বাড়ি আমার ইউনিয়নে।

এ ব্যাপারে তারা ঘোষ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।