টিকাদানে দক্ষিণ এশিয়ায় পেছনের সারিতে বাংলাদেশ

 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গত দুই মাসে করোনা প্রতিরোধক টিকা কার্যক্রমে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। তবে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে এখনও বেশ পিছিয়ে আছে। দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে শুধু আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘মোড় পরিবর্তন :ডিজিটাইজেশন ও সেবানির্ভর উন্নয়ন’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটা নামের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত করোনার অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছেন বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২১ শতাংশ। ভারতের এই হার ৪৮ শতাংশ এবং পাকিস্তানে শতাংশ। অন্যদিকে নেপালের শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ৫৫ শতাংশ এবং ভুটান ও মালদ্বীপের ৬৪ শতাংশ মানুষকে টিকার দ্বিতীয় ডোজও দেওয়া হয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশের চেয়েও পিছিয়ে আছে মিয়ানমার ও আফগানিস্তান। মিয়ানমারে মোট জনসংখ্যা ৭ শতাংশ এবং আফগানিস্তানের ২ শতাংশেরও কম লোককে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো পর্যাপ্ত টিকা পায়নি। টিকাদানের সুবিধাও অপ্রতুল এসব দেশে। টিকা কেনা ও বিতরণের জন্য এ অঞ্চলে ৯ কোটি ডলার অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে বহুজাতিক ব্যাংকটি।

এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দেশের তিন কোটি মানুষ করোনার টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। আর দুই ডোজই পেয়েছেন দুই কোটি লোক। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ কোটি ডোজ টিকা আসবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।