দেশের জন্য কিছু করতে চাই : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচনকে তিনি জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছেন।’জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এই শেষ সুযোগ। দেশের জন্য কিছু করতে চাই।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সাথে ধারাবাহিক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অপরিহার্য। আমরা সবাইকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’

তিনি জানান, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবী ও হাজতিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভোট দেয়ার আগ্রহ বেড়েছে। নারী-পুরুষ ভোটারের পার্থক্য ৩০ লাখ ছিল, তা কমিয়ে আনা হয়েছে। পোস্টাল ব্যালটের জন্য একটি আইটি-সাপোর্টেড হাইব্রিড মডেল তৈরি করেছি। এতে প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী ও কয়েদিরা ভোট দিতে পারবেন।’

সিইসি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহারসহ নানা নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমার বয়স ৭৩ বছর। জীবনে আর চাওয়ার কিছু নেই। এই নির্বাচনকে শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। একটি সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়াই আমার লক্ষ্য।’

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সরাসরি কাজ করেছেন এমন বিশেষজ্ঞদের সুচিন্তিত মতামত আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। নির্বাচনের কাজে সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

সংলাপে ইসির সাবেক সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব খন্দকার মিজানুর রহমান, মো: নূরুজ্জামান তালুকদার, মো: শাহেদুন্নবী চৌধুরী, সাবেক উপসচিব মিহির সরওয়ার মোর্শেদ, মিছবাহ উদ্দিন, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শাহ আলম, মাহফুজা আক্তার, মীর মো. শাহজাহান এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত খবর