ইসলামী ব্যাংকের ফেসবুক হ্যাকড হয়ে আবার ফিরে পেল

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছিল। একই সঙ্গে ফেসবুক পেজের প্রোফাইল ও কভার ছবি চেঞ্জ করে একটি হুমকিপূর্ণ বার্তা প্রকাশ করা হয়েছিল।
আজ (৩ অক্টোবর) ভোর ৫টা ৪২ মিনিটে ব্যাংকটির অফিসিয়াল পেজের এক পোস্ট থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হ্যাকার গ্রুপ।
এদিন ব্যাংকটির ফেসবুক পেজ ঘুরে দেখা যায়, পেজটির নাম পরিবর্তন করা হয়নি। এর প্রোফাইল ও কভার ফটো পরিবর্তন করে হ্যাকার গ্রুপটির ছবি দেওয়া হয়েছে।
হ্যাকার গ্রুপ দাবি করেছে, ব্যাংকের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং খুব শিগগিরই তাদের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে সাইবার আক্রমণ চালানো হবে। বার্তায় ‘Team MS 47OX’-এর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
হ্যাক হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছিলেন ইসলামী ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, আজকে ভোরে ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছে। বিষয়টি সমাধানে ব্যাংকের আইটি বিভাগ কাজ করছে।
হ্যাক হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর নিজেদের অফিশিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।
আজ বিকাল ৪টার দিকে পেজটি উদ্ধার সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ।
ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলাম বলেন, দিনভর আমরা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। অবশেষে বিকাল ৪টার দিকে আমরা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাই। বর্তমানে পেজটি স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে।
একটি পোস্টে হ্যাকাররা দাবি করে যে, ব্যাংকের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ওই পোস্টে চাকরিচ্যুত কর্মীদের পুনর্বহালেরও দাবি জানানো হয়। যদিও কিছু সময় পরেই পোস্টটি মুছে ফেলা হয়।
ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো জানায়, সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক বড় পরিসরে ছাঁটাই কার্যক্রম শুরু করেছে। চার শতাধিক কর্মকর্তা সরাসরি বরখাস্ত হয়েছেন।
আবার অনেক কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন। তাছাড়া বিশেষ মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় ৪ হাজার ৯৫৩ কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যাংক নতুন করে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্যেই ব্যাংকের ফেসবুক পেজ হ্যাকড হওয়ার ঘটনাকে অনেকেই তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন।
তবে সর্বশেষ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দাবি, ফেসবুক পেজটি এখন সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা এবং জনআস্থার ওপর নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে বলে মনেকরছেন বিশ্লেষকরা।