পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

আজ ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। মানবতার মুক্তিদূত, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) এর পবিত্র জন্ম ও প্রয়াণ দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী।

সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে গ্রহণ করেছে বিশেষ কর্মসূচি। এসবের মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা, মিলাদ মাহফিল এবং দোয়া অনুষ্ঠান।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণীতে বলেন,

“হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ বর্তমান দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, মহানবী (সা.) ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’, যিনি মানুষকে অন্যায়, অবিচার ও অন্ধকার থেকে মুক্তি দিয়ে আলো ও সত্যের পথে পরিচালিত করেছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, “ঈদে মিলাদুন্নবী শুধু নবীজি (সা.)-এর পৃথিবীতে আগমনের আনন্দের দিন নয়, বরং তার জীবন ও শিক্ষা থেকে প্রেরণা নেওয়ার বিশেষ উপলক্ষ।” তিনি আরও বলেন, মহানবী (সা.) মানবজাতিকে সত্য, ন্যায়, সৎ ও পরিশুদ্ধ জীবনের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সব মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মিলাদ মাহফিলসহ বিশেষ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছে।

মুসলমানদের বিশ্বাস, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন মানবজাতিকে জাহেলিয়াতের অন্ধকার থেকে মুক্তি এনে দিয়েছে। তার অসাধারণ যোগ্যতা, সততা, সহনশীলতা, সাহস ও ধৈর্যের মাধ্যমে তিনি আল-কোরআনের বাণী প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি সমাজের অবহেলিত, নির্যাতিত ও বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, নারী জাতিকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সত্য-ন্যায় ও ইনসাফের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সৃষ্টিকুলের জন্য রহমত—‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’। তার জীবন ও শিক্ষা আজও মানবতার পথপ্রদর্শক।

সম্পর্কিত খবর