বাড্ডায় শহীদদের স্মরণে সড়কের নাম

রাজধানীর বাড্ডায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সড়কের নাম পরিবর্তন করেছে স্থানীয়রা।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছিলো ঢাকার পাঁচ এলাকায়, তার মধ্যে বাড্ডা অন্যতম।

আজ ২০ আগস্ট, রাজধানীর বাড্ডায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সড়কের নাম পরিবর্তন করেছে স্থানীয়রা। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেনা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছিলো ঢাকার পাঁচ এলাকায়, তার মধ্যে বাড্ডা অন্যতম। রাজধানীর জনবহুল এলাকা বাড্ডা, গণ–অভ্যুত্থানের ভয়াবহ সহিংসতার সাক্ষী হয়ে ওঠেছিলো।

আন্দোলন দমনে বাড্ডা ও পার্শ্ববর্তী ভাটারা এলাকায় পুলিশ ও রাজনৈতিক ক্যাডাররা যখন একযোগে হামলা চালায় তখন ছাত্র জনতা ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। আন্দোলন দমনে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে হাজার হাজার রাউন্ড গুলি ছুড়েছিলো পুলিশ ও দলীয় ক্যাডাররা। এতে বাড্ডা ও ভাটারায় ৫১ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলো। ছাত্র জনতার রক্তে রঞ্জিত হয়েছিলো বাড্ডার পথঘাট।

এ বছরের ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে, বাড্ডার সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে মেরুল বাড্ডায় (ডিআইটি প্রজেক্টের ১২ নম্বর সড়ক) ছাত্র-জনতা শহীদি সড়কের নামফলক উদ্বোধন করা হয়।

‘ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শহীদের রক্তে গড়া পথ’ স্লোগানকে সামনে রেখে এলাকাবাসী এ নামফলক তৈরি করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ফাহাদুল ইসলাম ফারহাদ জানান, ঢাকার মধ্যে বাড্ডা-রামপুরা ছিল মৃত্যুপুরী। সড়কে রক্তের স্রোত বয়ে গিয়েছিল, পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কিলিং জোন হয়েছিল এই জায়গাটি। যেহেতু আমরা এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং এই গণহত্যা আমাদের সামনে হয়েছিল তাই আমরা বিবেক দ্বারা বারবার তাড়িত হয়। এইজন্য আমরা এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সড়কটির নামকরণ করি।

সম্পর্কিত খবর