টেস্ট ও টি-২০ তে সন্তুষ্ট সালাহউদ্দিন

ওয়ানডেতে ভূমিকা বদলাতে হয় দ্রুত, উইকেট পড়লে একভাবে ও না পড়লে আরেকভাবে। ১০ ওভারের পর একরকম, ৩০ ওভারের পর আরেক রকম। যা অভিজ্ঞতা থেকে আসে।
ওয়ানডে ক্রিকেটে একটা সময় বাংলাদেশ দল হয়ে উঠেছিল পরাশক্তি। বিশেষ করে অপরাজেয় হয়ে উঠেছিল নিজেদের ডেরায়। ঘরের মাঠকে পরিণত করে নিজেদের দুর্গে।
২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে বদলে যেতে থাকে দৃশ্যপট। চিরচেনা ফরম্যাটে টাইগাররা হয়ে উঠে অচেনা। যার প্রভাব পড়ে র্যাঙ্কিংয়ে। ১৯ বছর পর দশে নেমে যায় বাংলাদেশ। অথচ মাঝে উঠেছিল ৬ নম্বরেও।
ওয়ানডেতে খারাপ সময়ের মাঝে আশার আলো টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি। যদিও বড় গলায় বলার মতো কিছু নয় আবার খুব একটা ধারাবাহিকও নয়; তবুও একটু-আধটু যা সাফল্য, তা এসেছে এগুলো থেকেই।
জাতীয় দলের সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এই সাফল্যেই খুঁজছেন প্রাপ্তি। ক্রিকবাজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে তার শিষ্যরা এখন কিছুটা ভালো, তবে হিসাব বাকি ওয়ানডেতে!
মূলত মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর অভাব দলকে ভোগাচ্ছে দাবি করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের টেস্ট দল এখন অনেকটাই স্থির। দীর্ঘদিন ধরেই তারা একসাথে আছে, সবার ভূমিকা পরিষ্কার। কে ব্যাট করবে, কে বল করবে, কে পেস আক্রমণ সামলাবে। খুব বেশি পরিবর্তন নেই, ভবিষ্যতেও হবে না।’
‘টি-টোয়েন্টিতেও আমরা প্রায় ধারাবাহিকতায় পৌঁছে গেছি। কিন্তু ওয়ানডে দলের ক্ষেত্রে অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়। ওয়ানডেতে অভিজ্ঞদের ওপর নির্ভর করতে হয় বেশি। লম্বা সময় সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা খেলেছে। সেই জায়গায় এখনো কাউকে স্থায়ীভাবে বসাতে পারিনি।’
সালাহউদ্দিন এই প্রসঙ্গে আরো বলেন, ‘ওয়ানডেতে ভূমিকা বদলাতে হয় দ্রুত, উইকেট পড়লে একভাবে ও না পড়লে আরেকভাবে। ১০ ওভারের পর একরকম, ৩০ ওভারের পর আরেক রকম। যা অভিজ্ঞতা থেকে আসে। একবার পরিস্থিতি পড়তে শিখলে আর হিসাবমতো খেলতে পারলেই এই জায়গায় উন্নতি আসবে।’
‘ওয়ানডেকে আমাদের শক্তি বলা হলেও মিডল-অর্ডারের নতুন সেটআপে এখনো পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারিনি। চার, পাঁচ, ছয় নম্বর পজিশন গুরুত্বপূর্ণ। এখানে স্ট্রাইক ঘোরানো ও ম্যাচের চাহিদা অনুযায়ী খেলা জরুরি। আগে এই জায়গায় দীর্ঘ সময় স্থিতিশীলতা ছিল, এখন সেটা হঠাৎ করেই হারিয়ে গেছে।
‘নতুনদের সময় লাগবে। টেস্ট বা টি-টোয়েন্টিতে আমরা ধারাবাহিক কারণ সবাই জানে তাদের ভূমিকা কী। ওয়ানডেতে একবার সেই স্তরে পৌঁছালে সব সহজ হয়ে যাবে,’ যোগ করেন সালাহউদ্দিন।
তবে তার আশার জায়গা দলের ওপেনিং। টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে ওপেনারদের পারফরম্যান্স নিয়েও তৃপ্ত তিনি। বিশেষ করে তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমনের আগ্রাসী খেলার ধরন আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে তাকে।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকে ইমন ও তামিম একসাথে খেলছে। সবচেয়ে বড় কথা, বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা। ফলে তারা ভয়হীন ক্রিকেট ও শট খেলতে পারে। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে যে সাহস আর শট খেলতে হয়, সেটা তাদের মধ্যে আছে।’
টেস্ট দলের ওপেনারদের মাঝে সাদমান ইসলামে সন্তুষ্ট হলেও আরো একজন ওপেনার খুঁজছেন সালাহউদ্দিন। বলেন, ‘টেস্টে অনেকদিন পর সাদমান ভালো অবস্থায় আছে। আমরা আরেকজন ওপেনার খুঁজছি।’