৪০ হাজার বডিক্যাম পাচ্ছে নির্বাচনে কর্মরত পুলিশ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ বাহিনীর সহায়ক হিসাবে ৪০ হাজার বডি-ওর্ন ক্যামেরা (বডিক্যাম) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
(২৩সেপ্টেম্বর)অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে আরও ৬টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের জন্য ৪০ হাজারের বেশি বডি ক্যামেরা কেনার অনুমোদন দিয়েছি। দেশে ডলার মজুত আপৎকালের জন্য পর্যাপ্ত নয় বলেও তিনি জানান।
ক্যামেরা কেনার খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, টাকার অঙ্ক না-ই বললাম, কারণ এটা সংগ্রহ করা হবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মাধ্যমে। দরপত্র আহ্বান করে কিনতে গেলে পণ্যের মান ও দামের বিষয় থাকে। এখন ইউএনডিপি মান ও দামের নিশ্চয়তা দেবে। যেমনভাবে আমরা ইপিআই টিকা ইউনিসেফের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছিলাম।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বডি ক্যামেরা কেনার খরচ বাংলাদেশ সরকারই দেবে। ইউএনডিপি পণ্যের সঠিক মান ও মূল্য নির্ধারণে সহযোগিতা করবে। এতে করে আর কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হবে না। কারণ আমরা কারও সঙ্গে মূল্য নিয়ে নেগোসিয়েশন করতে চাচ্ছি না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাকা দেবে সরকার, কিন্তু কিনতে হবে বেসরকারি খাত থেকে। স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ইউএনডিপির মাধ্যমে কেনা হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে পুলিশকে বডিক্যাম দেওয়া হয় প্রথম ২০১৪ সালে। শুরুতে ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং পরে ট্রাফিক পুলিশকে এই ক্যামেরা দেওয়া হয়। দায়িত্বরত পুলিশের বুকে কিংবা কপালে লাগানো থাকে এই ক্যামেরা। যে কোনো অভিযান, চেকপোস্টে তল্লাশি ও গুরুত্বপূর্ণ ডিউটিতে পুলিশ সদস্যদের পোশাকের সঙ্গে থাকা লাইভ ক্যামেরা হিসাবে কাজ করে। পুলিশ সদর দপ্তরের মনিটরিং সেল এসব ক্যামেরা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ ও মনিটর করে।