সেপ্টেম্বেরে রপ্তানি আয়ে নিম্নগতি

গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয় কমেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এটা ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ কম। পোশাক খাতে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ায় সামগ্রিক রপ্তানি খাতে এর প্রভাব পড়েছে। রোববার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরে বিদেশের বাজারে ৩৬২ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছেন উদ্যোক্তারা। আর আগের বছর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৩৮০ কোটি ডলার। অবশ্য চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ২৩১ কোটি ডলারের পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল এক হাজার ১৬৫ কোটি ডলার।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এছাড়া কৃষি পণ্যে ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং প্লাস্টিক পণ্যে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে কার্পেট রপ্তানি ২১ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং হিমায়িত মাছ রপ্তানি ১২ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পোশাক খাতে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার বিষয়ে নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ধাক্কার প্রভাবে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা দেশের সামগ্রিক রপ্তানি আয়েও প্রতিফলিত হয়েছে।’