সিইও খালেক মিয়াকে হয়রানি করছে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স

ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান সাঈদ খোকনকে চিঠি দিয়েছেন সিইও আব্দুল খালেক মিয়া। চিঠিতে খালেক মিয়া ‘উদ্দ্যেশ্যমূলকভাবে হয়রানির’ অভিযোগ তুলেন।
২১ সেপ্টেম্বর দেয়া চিঠিতে খালেক বলেন, ইসলামী ইন্সুরেন্স থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর’তদন্তের চূড়ান্ত নোটিশ’ আসে। নোটিশে আমাকে প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। এর আগেও একবার তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে ডাকা হয়। আমি সভায় উপস্থিত থাকতে অপরাগতা প্রকাশ করে চিঠি দেই।
কিন্তু চিঠির ‘জবাব’ গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠান। বরং আবারো উদ্দ্যেশ্যমূলকভাবে হয়রানির জন্য চূড়ান্ত নোটিশ দেয়।
এসময় অফিসে উপস্থিত না থাকার কারণ তুলে ধরেন খালেক মিয়া-
১। ১৭ আগস্ট কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি ও হেড অব এইচআর এন্ড এডমিন চৌধুরী এহসানুল হক চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বলেন। অনকাঙ্খিতভাবে আমাকে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বলায় অত্যন্ত মর্মাহত হই।
২। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় ১৭ আগস্ট ১৫ দিনের ছুটি নেই। এসময় ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি ও হেড অব এইচআর এন্ড এডমিন চৌধুরী এহসানুল হক আমার বাসায় লোক পাঠিয়ে ইস্তফা দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। এসব বিষয়ে ২০ আগষ্ট কোম্পানির চেয়ারম্যানকে মেইলে চিঠি দেয়া হয়।
৩। চাকরির এই অবসান পত্র বীমা আইন ২০১০ এর ৮০(২) ধারার লঙ্ঘন।
৪। বেআইনিভাবে চাকরির অবসান পত্র দেয়ার পর কোম্পানি থেকে বরাদ্দকৃত গাড়ি ফেরত নেয়া হয়।
৫। গাড়ি বুঝিয়ে দেয়ার পর দিন আবার বাধ্যতামূলকভাবে ছুটি দিয়ে চিঠি দেয়া হয়। এতে উল্লেখ করা হয়- “আমার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
৬। একইদিন ২৫ আগষ্ট ১১টি অভিযোগ তুলে কারণ দর্শানোন নোটিশ দেয়া হয়। আমি ৩১ আগস্ট জবাব দেই।
জবাবে আরো উল্লেখ করা হয়-
ক। আপনারা কোনো নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেননি।
খ। বীমা আইনে আমার উপস্থিতে শুনানী করার কোনো এখতিয়ার আপনাদের দেয়া হয় নাই।
গ। তদন্তের নিরপেক্ষতা যাচাই-বাছাই বা পরীক্ষা করার এখতিয়ার বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের।
ইসলামী ইন্সুরেন্সের’নোটিশ’ বেআইনি ও হয়রানিমূলক উল্লেখ করে এ জাতীয় চিঠি থেকে বিরত থাকতে বলেন।
চিঠির অনুলিপি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যানকে দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে খালেক মিয়া বলেন- “ইসলামী ইন্সুরেন্সের প্রতিটি চিঠি, কর্মকান্ড ও ঘটনা বেআইনি এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্তও প্রশ্নবিদ্ধ। একই সঙ্গে এ ধরনের চিঠি বেআইনি ও হয়রানিমূলক।”
এ প্রসঙ্গে জানতে ইসলামী ইন্সুরেন্সের সিইও (ভারপ্রাপ্ত) মইনুল আহসান চৌধুরীকে ফোন করা হলে পাওয়া যায় নি।