সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে স্টাইলক্রাফট

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি স্টাইলক্রাফট লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৬৪ টাকা ৬০ পয়সা। ওইদিন ৬৮ হাজার ৪৯৯ শেয়ার মোট ৭৯০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৬৪ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৬ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৬২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

বস্ত্র খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

কোম্পানির মোট এক কোটি ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ টাকা ৩৮ পয়সা এবং বাকি ৫৭ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৭ পয়সা (লোকসান), আগের বছর একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ১৬ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ৪৯ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৮ পয়সা (লোকসান), আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল

এক টাকা ১০ পয়সা (লোকসান)। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান এক টাকা ৪৮ পয়সা বেড়েছে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে ছিল চার টাকা ৬৩ পয়সা (ঘাটতি)।

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮৭ পয়সা (লোকসান) এবং ২০২৩ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮৮ পয়সা। কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১১ পয়সা (লোকসান) এবং ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা সাত পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৩ টাকা ২৮ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৯৩ পয়সা (লোকসান) এবং ২০২১ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ২২ টাকা ১৮ পয়সা।

দরপতনের তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা এসএস স্টিল লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ। জুট স্পিনার্স লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ ও লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।