পাত্র দেখে ফেরার পথে ‘গণধর্ষণের’ শিকার নারী

class="" data-block="true" data-editor="apu9l" data-offset-key="cmptb-0-0">
 
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ভাগনীর জন্য পাত্র দেখে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) শ্রীপুর থানায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন ওই ভুক্তভোগী নারী। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার শিমুলতলী গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে কামরুজ্জামান (৪০) ও ধামলাই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মো. গোলাপ (৩৩)।
শ্রীপুর থানা পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নারী ও তার বান্ধবী ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকায় একটি বিউটি পারলারে কাজ করেন। ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে শ্রীপুরের এক যুবকের আট মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর ভাগনীর জন্য পাত্র দেখতে ওই বান্ধবী ও প্রেমিককে নিয়ে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ এলাকার বেলদিয়া গ্রামে আসেন।
সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে রাত ১০টায় কাওরাইদ বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। জৈনাবাজার-কাওরাইদ সড়কের বলদীঘাট বাজার এলাকায় পৌঁছালে অভিযুক্তরা তাদের গতিরোধ করে। পরে জোর করে তাদের বদলীঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখে।
 
পরে কক্ষে নিয়ে অভিযুক্তরা একে অপরের সহযোগিতায় ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা তাদের সিএনজি-স্ট্যান্ডের দিকে পাঠিয়ে দেয়। এ সময় বাজারে উপস্থিত শ্রীপুর থানার টহল পুলিশকে ঘটনার বিস্তারিত জানালে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কামরুজ্জামান ও গোলাপকে আটক করে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম সারোয়ার জানান, ভুক্তভোগী নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার দুজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামিকে গ্রেফতার পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।