ওমরাহর ভিসা মেয়াদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিল সৌদি

ওমরাহর ভিসার মেয়াদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। নির্দেশনায় সৌদি আরবে ওমরাহর ভিসায় অবস্থান করা মুসল্লিদের দেশত্যাগের সময়সীমা জানানো হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি আরবের বাইরে থেকে আসা ওমরাকারীদের ভিসার মেয়াদ আগামী জিলকদ মাসের ১৫ তারিখে (২৩ মে) শেষ হবে। এ সময়ের মধ্যে সব ওমরাকারীদের দেশে ফিরতে হবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগে ওমরাহকারীদের দেশে ভিসার মেয়াদ ছিল ২৯ জিলকদ পর্যন্ত। তবে এ সময়সীমা ১৪ দিন কমানো হয়েছে। ফলে তাদের আগামী ১৫ জিলকদের মাধ্যমে দেশে ফিরতে হবে। পবিত্র হজ উপলক্ষে মুসল্লিদের প্রক্রিয়া মসৃণ করার অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় ওমরার ভিসার মেয়াদের সূচিতেও পরিরর্তন এনেছে। আগের নিয়ম অনুযায়ী, ওমরাহর ভিসার মেয়াদ সৌদি আরবে প্রবেশের পর থেকে ৯০ দিন ধরা হতো। তবে বর্তমানে নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। ভিসা ইস্যু তারিখ থেকে ভিসার মেয়াদ ৯০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ভিসার মেয়াদ তিন মাস হলেও বিদেশিদের আগামী ১৫ জিলকদের মধ্যে দেশত্যাগ করতে হবে। ভিসার মেয়াদ থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণায়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এ তারিখ অনুমোদন করা হয়েছে। আগের ঘোষণার থেকে ১৪ দিন সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এ সময়ের পর ৯০ দিন পূর্ণ না হওয়ার কারণে সৌদি আরবে থেকে যান- তাহলে তিনি আইনি জটিলতার মুখোমুখি হতে পারেন বলেও নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।

ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী কুরবানি ঈদের সময় হজে আকবর বা বড় হজ পালন করেন মুসলিমরা। এজন্য সারা বিশ্বের মুসলমানের এ সময় সৌদি আরবে ভিড় করেন। অন্যদিকে রমজান মাসকে ওমরাহর জন্য মৌসুম বলা হয়। এ সময়েও বিপুল সংখ্যক মুসলিম সৌদিতে ওমরাহ ও ইতিকাফের জন্য ভিড় করেন।

ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর জীবনে একবার হজ পালনকে অত্যাবশ্যক তথা ফরজ করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল মুসলমানরা ওমরাহ পালনে সৌদি আরব যাচ্ছেন। ফলে ওমরাহকারীদের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে প্রায় তিন কোটি মুসলমান ওমরাহ পালন করেছে। ওমরাহকারীদের বাড়তি চাপ এড়াতে সৌদি কর্তৃপক্ষ নিজেদের নিয়মের ব্যাপারে কঠোর হয়েছিল। দেশটির পক্ষ থেকে এক ব্যক্তিকে রমজানে একাধিকবার ওমরাহ পালনের সুযোগ দেওয়া হবে না নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।