‘২৫ বছর বয়সে ফিরতে চাই’

আল মাহমুদ। দেশের কিংবদন্তি কবি ও সাহিত্যিক। জীবনের প্রায় অন্তিমে এসেও সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করছেন তিনি। তাঁর প্রথম আত্মজৈবনিক উপন্যাস ‘যেভাবে বেড়ে উঠি’ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল। ২০১৮ সালের একুশে বইমেলায় ‘জীবন যখন বাঁক ঘোরে’ শিরোনামে নতুন আত্মজৈবনিক একটি উপন্যাস প্রকাশ পেয়েছে তাঁর। সেটিই ছিল কবির শেষ আত্মজৈবনিক গ্রন্থ। গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মারা যান তিনি। বইটি প্রকাশের পর পরই, ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বইটি প্রসঙ্গে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন আল মাহমুদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাইস  নূর।

 : ‘জীবন যখন বাঁক ঘোরে’ বইটি আপনি আপনার স্ত্রী সৈয়দা নাদিরা মাহমুদকে নিয়ে লিখেছেন। এত দিন বইটি না লেখার পেছনে কি কোনো কারণ ছিল?

আল মাহমুদ : কোনো কারণ ছিল না। আগে বইটি লেখার প্রয়োজনবোধ করিনি। এখন মনে হয়েছে তাই ভেবেছি আত্মজৈবনিক নিয়ে আরো কিছু লেখা যেতে পারে।

 : উপন্যাসটিতে আপনি আপনার বিয়ের পরের ব্যক্তিগত ঘটনা লিখেছেন। সত্যের সাথে কল্পনার কি কোনো মিশ্রণ ছিল?

আল মাহমুদ : আমি আমার ব্যক্তিগত ঘটনাগুলোই বইটিতে বলার চেষ্টা করেছি। আমার বউয়ের কাছে আমি  সত্যি সত্যি বাসি পোলাও খেতে চাইতাম (হাসি)।

 : আপনার কী মনে হয়, মানুষের জীবনের বাঁক ঘুরে যায় কখন?

আল মাহমুদ :  আমার মনে হয়, বিয়ের পর জীবনের বাঁক ঘুরে যায়। আমি  তো তাই বিশ্বাস করি।

 : অবসর কীভাবে কাটছে? নতুন লেখার কোনো ভাবনা আপনার কি মাথায় এসেছে?

আল মাহমুদ :  পরিবারের সঙ্গে সময় কাটে। টিভিতে খবর দেখি। দেশের খবর শুনি। এই মুহূর্তে কিছু লিখছি না।

 : সুযোগ পেলে কোন বয়সে ফিরে যেতে চান?

আল মাহমুদ :  ২৫ বছর বয়সে ফিরতে চাই।