১৬০ দিন পর মুক্তি পেল কাশ্মীরের ৫ নেতা

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সময় আটক নেতাদের মধ্যে পাঁচজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ১৬০ দিন গৃহবন্দী রাখার পর গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) তিনজন এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির (ডিপি) দুজন নেতা রয়েছেন। এদের মধ্যে এনসি’র মুক্তিপ্রাপ্ত নেতারা হলেন- আলতাফ কালু, শওকত গনাই ও সালমান সাগর এবং ডিপি’র দুই নেতা হলেন- নিজামুদ্দিন ভাট ও মুখতার বাধ।
তবে এখনো কাশ্মীরের সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ,তার ছেলে ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। সাবেক এই তিন মুখ্যমন্ত্রীকে কবে নাগাদ মুক্তি দেওয়া হবে তাও স্পষ্ট করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে বৃহস্পতিবার হরি নিবাস থেকে ওমর আব্দুল্লাহকে শ্রীনগরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া পাঁচ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত বুধবার থেকে কাশ্মীরে আংশিকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে। তবে এখনো বেশির ভাগ জায়গায় ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত কাশ্মীরবাসীরা।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর টু জি সার্ভিস দেওয়ার জন্য অপারেটর কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সেখানে জারিকৃত বিধিনিষেধ শিথিলের অংশ হিসেবে রাজনীতিবীদদের মুক্তি ও ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার ও স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিয়ে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সেখানে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে প্রশাসন।
বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা রদের সময় থেকে ‘সতর্কতামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে আটক করা হয়েছিল সাবেক মুখ্যমন্ত্রীসহ অন্য নেতাদের। ধীরে ধীরে সরকারি সেসব বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে গত ৩০ ডিসেম্বর সাবেক পাঁচ বিধায়ককে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে এখনো বন্দী রয়েছেন ৩০ জনেরও বেশী সাবেক মন্ত্রী ও বিধায়ক।