১০০ টাকায় মিলল চা দোকানির চাকরি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা কেশবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শিবু লাল। বাজারে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান দিয়ে তার সংসার পরিচালিত হয়। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চা বানিয়ে দিন কাটায়। চার ছেলেমেয়ে লেখাপড়া ও সংসারের বোঝা শিবু লালের মাথায়।

বাজারের দিনগুলোতে শিবু লালের বড় ছেলে অভিলাল তার সঙ্গে দোকানে কাজ করেন। তবে শিবু লালের মনে আর এখন কষ্ট নেই। বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরী হয়েছে ছেলে অভি লালের।

১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট খরচ করে পুলিশে চাকুরি হওয়ায় নতুন করে স্বপ্ন দেখছে অভি লালের পরিবার।
এমন আরেক পরিবারের অরেক কন্যা সুরাইয়া আক্তার রিমু। রিমুর বাবা গলাচিপা শহরে কাচা মালের ব্যবসা করেন।

পুলিশের কনস্টেবল পদে রিমুর চাকুরী হওয়ায় দরিদ্র পরিবারটি এখন আলোর মুখ দেখছে তাই রিমুর মুখে এখন হাসি আর হাসি।

পটুয়াখালী এই প্রথমবারের মতো শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে শারিরীক যোগ্যতা সম্পন্ন এবং মেধাবীদের পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পটুয়াখালীতে ৩২ জন পুলিশ সদস্য নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ নিম্ন মধ্যবিত্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। যোগ্যতা ও মেধায় চাকুরী পেয়ে খুশি তারা।

পটুয়াখালী জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এবার ৩২ জন চাকুরী পেয়েছেন তাদের মধ্যে কৃষক পরিবারের ৭ জন দিনমজুর পরিবারের ৩ জন, চায়ের দোকানদার এক জন, মসজিদের ইমামের ছেলে একজন। এ বছরের নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চত করা হয়েছে। এ কারনে মেধাবী এবং শারীরিক যোগ্যতা সম্পন্ন ছেলে মেয়েদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

চায়ের দোকানদার শিবু লাল বলনে, সংসারে ছেলের চাকুরী হওয়ায় আমি অনেক বেশি খুশি। ইশ্বরের কাছে সরকার এবং পুলিশ প্রধানের জন্য দোয়া করি। ইশ্বর তাদের মঙ্গল করুক।