১০০ টাকার নিচে নামবে পেঁয়াজ

খুচরাবাজারে তিন দিনের মধ্যে ১০০ টাকার নিচে পাওয়া যাবে পেঁয়াজ।  এমন আশ্বাস দিয়েছেন চট্টগ্রামের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা, এর আগে একাধিকবার আশ্বাস দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। সরকার কঠোর হওয়ার পর ব্যবসায়ীরা নড়েচড়ে বসেছেন।

এরই মধ্যে পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেটরা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে প্রতি কেজি ৪২ টাকায় কেনা পেঁয়াজের দাম লাভসহ ৬০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। অথচ তারা বিক্রি করছেন ৯৫ টাকায়। এ অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত কয়েক ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করেন।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চট্টগ্রামের পেঁয়াজের আড়তদারদের সঙ্গে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পেঁয়াজের আড়তদাররা নিজ থেকে প্রশাসনকে তিন দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে নিয়ে আসার আশ্বাস দেন।

 

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিচ বলেন, আড়তদাররা মূলত ফোনের মাধ্যমে পেঁয়াজের এজেন্টেদের সঙ্গে কথা বলেই পেঁয়াজ নেন। তাদের কাছে কোনো কাগজ থাকে না। আমরা যারা আড়তদাররা আছি এখন তারা পেঁয়াজের কেজি ৮০-৮৫ টাকায় যেন সংগ্রহ করতে পারি সেটা নিয়ে সরাসরি আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলব। ফলে আশা করছি, আগামী তিন দিনের মধ্যে ক্রেতারা খুচরা পর্যায়ে ১০০ টাকার ভেতরে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।

আড়তদারদের দেওয়া আশ্বাসের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সেলিম হোসেন বলেন, আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এস আলম ও মেঘনা গ্রুপ প্রায় ৬১ হাজার টন পেঁয়াজ আনবে। তখন সংকট থাকবে না। এসব পেঁয়াজ এলে ৬০-৭০ টাকায় হয়তো নেমে আসবে।

উপসচিব বলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ উঠবে আর আমাদনি করা পেঁয়াজও চলে আসবে। তখন দাম ৪০ টাকার নিচে নেমে যাবে। এ সময়ের মধ্যে যারা বড় ব্যবসা করতে চাইবে তারা ক্ষতির মুখে পড়বে। তবু আমরা পাইকারি ও খুচরায় ডকুমেন্ট ছাড়া কোনো পেঁয়াজ বিক্রি না করার অনুরোধ জানিয়েছি। ব্যবসায়ীরা কাগজপত্র ছাড়া পেঁয়াজ বিক্রি না করার অঙ্গীকার করেছেন।