হাসপাতালে সন্তান জন্ম দিয়েই প্রেমিকের সঙ্গে উধাও গৃহবধূ!

 

হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘণ্টাখানেক পরই সন্তান ফেলে প্রেমিকের সঙ্গে এক গৃহবধূ উধাও হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে সন্তান প্রসবের ঘণ্টাখানেক পর ওই গৃহবধূ পালিয়ে গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। তবে বৃহস্পতিবার শিশুটির পরিবার থানায় যোগাযোগ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

জানা গেছে, ৪ অক্টোবর রাত ১২টা ৫১ মিনিটে যশোর শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার শাহিনুর হোসেনের স্ত্রী নিঝুম (২০) তার প্রেমিক ইব্রাহিমকে নিয়ে সন্তান জন্ম দিতে হাসপাতালে ভর্তি হন। পর দিন মঙ্গলবার দুপুর ১টার সময় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার একটি ছেলেসন্তান জন্ম হয়। মাত্র ঘণ্টাখানেকের মাথায় শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে নিঝুম নিখোঁজ হয়।

ভর্তি তথ্যে শিশুটির বাবার নাম শাহিনুর লিখলেও প্রেমিক ইব্রাহিম তার স্বামী হিসেবে পরিচয় দেয়। একই সঙ্গে তাদের বাসা নিঝুমের স্বামী শাহিনুরের যশোরের স্টেডিয়ামপাড়া উল্লেখ করা রয়েছে। জরুরি যোগাযোগের জন্য দেওয়া ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। শিশুটি দুই দিন হাসপাতালের সেবিকাদের তত্ত্বাবধানে ছিল।

স্বজনরা পরিবারের সম্মানহানি হওয়ার ভয়ে থানায় যোগাযোগ না করে নিঝুমকে আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় সন্ধান করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে না পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় শিশুটির নানা-নানির সন্ধান পাওয়া যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ শিশুটিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এ বিষয়ে শিশুটির বাবা শাহিনুর কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে শিশুটির নানা শাহআলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ৩ মার্চ নিঝুম ও শাহিনুরের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে নিঝুম স্বামী শাহিনের সঙ্গে ঢাকায় থাকত। কিছুদিন আগে নিঝুম সন্তান প্রসব করতে মাগুরায় তার বাবার বাড়ি আসে। কিন্তু নিঝুমের সঙ্গে কীভাবে যেন পরিচয় হয় ভোলা জেলা সদরের খয়েরতলা এলাকার ইব্রাহিম নামে এক যুবকের। ওই ইব্রাহিম ফুঁসলিয়ে কৌশলে নিঝুমকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। নিঝুমের সন্তান জন্ম নেওয়ার পর ইব্রাহিম তাকে নিয়ে পালিয়েছে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহম্মেদ জানান, শিশুটিকে পুলিশের মধ্যস্থতায় তার নানা শাহআলম, নানি আসমা খাতুন এবং বাবা শাহিনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি ভালো আছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ইব্রাহিম আর নিঝুমকে আমরা খুঁজছি। বর্তমানে শিশুটি তার পিতার বাড়িতে সুস্থ আছে।