হাজীগঞ্জে মণ্ডপে হামলা: ১০ মামলায় আসামি ৫ হাজার, গ্রেপ্তার ৩২

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপে ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলা হয়েছে। এ সব মামলায় ৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা অধিকাংশই অজ্ঞাত হলেও, আজ শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশ মাত্র ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘১০টি মামলার মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে ২টি মামলা করেছে। পরে বুধবার পর্যন্ত ৮টি মন্দিরের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে আরও ৮টি মামলা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্র ধরে এ পর্যন্ত ৩২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) মো. সোহেল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ঘটনার সূত্রপাত খুঁজতে এবং প্রকৃত অপরাধীদের বের করতে পুলিশের ডিআইজি ও জেলা প্রশাসনের ২টি তদন্ত কমিটির তদন্ত চলছে।’

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, ‘অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তারা আরও সময় চেয়েছেন।’

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত ডিআইজি ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটিও সময় চেয়েছে বলে তিনি জানান।

গত ১৩ অক্টোবর শারদীয় দুর্গোৎসবের অষ্টমীর দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মণ্ডপে হামলা হয়। ওই রাতে উপজেলার ১৩টির বেশি মণ্ডপে হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। কিন্তু হামলাকারীরা পুলিশের দিকে পাল্টা ইট নিক্ষেপ করতে শুরু করলে অন্তত ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।