এক বছর ধরে স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে বিরোধ চলছিল গৃহবধূর। এ অবস্থায় একমাস আগে পারভিন আক্তার সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি চাঁদপুরে চলে যান। কিছুদিন আগে তিনি জানতে পারেন স্বামী তাকে খোলা তালাক দিয়েছেন।
এর সত্যতা যাচাই করতে মঙ্গলবার সকালে তিনি স্বামীর বাড়ির পাশের একটি ঘরে ওঠেন। রাত ১১টার দিকে তার ফোনে কল আসলে তিনি দরজা খুলে বাইরে বের হন। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন গৃহবধূ। সকালে বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পারিবারিক বিরোধের জেরে রাতে পারভিনকে ডেকে নিয়ে তার স্বামী হত্যা করে লাশ ডেবায় ফেলে রাখেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঝালকাঠিতে পারিবারিক বিরোধের জেরে পারভিন আক্তার নামে (২৫) এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে সদর উপজেলার বেরমহল গ্রামের একটি ডোবা থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেরমহল গ্রামের মৃত আবু হানিফের ছেলে তানজিল হাওলাদারের সঙ্গে বিয়ে হয় চাঁদপুর সদরের কল্যাণদী এলাকার জিন্নাত আলী মোল্লার মেয়ে পারভিন আক্তারের। তাদের ১৮ মাস বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
খবর পেয়ে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, অতিরক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) প্রশান্ত কুমার দে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে পিটিয়ে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী তানজিল হাওলাদার পলাতক রয়েছেন।