সৌদি আরবে নির্যাতিত হয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি নারী শ্রমিকের দেশে ফেরত আসার ঘটনায় সমালোচনার মুখে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বলেছেন, ‘এখানে নারীদের যতটা নির্যাতনের কথা বলা হয় বাস্তবে ততটা নয়। নারীরা দেশে ফিরে যাওয়ার একটি বড় কারণ তারা হোমসিক।’ তবে কিছু কিছু ঘটনা যে ঘটছে না তা নয় উল্লেখ করে অভিযোগ পেলে দূতাবাস সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয় বলে জানান তিনি।
জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে বাংলায় বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ এ কথা বলেন।
গোলাম মসিহ বলেন, ‘গত চার বছরে বাংলাদেশ থেকে তিন লাখ নারী শ্রমিক গেছেন সৌদি আরবে৷ তাদের মধ্যে ১৩ হাজার দেশে ফিরে গেছেন। ফিরে যাওয়া নারী শ্রমিকদের হার শতকরা হিসেবে অনেক কম৷ সবাই যে নির্যাতনের কারণে ফিরে গেছেন তাও নয়’।
এদিকে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা সৌদি আরবে নারী শ্রমিকদের এই নির্যাতন বন্ধ করতে না পারলে সেখানে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধের জানিয়েছেন।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি বছরের নয় মাসে সৌদি আরব থেকে ৪৮ নারীর মরদেহ বাংলাদেশে এসেছে। গত চার বছরে সৌদি থেকে ১৫২ নারীর মরদেহ দেশে ফিরেছে। তাদের মধ্যে আত্মহত্যা করেছেন ৩১ নারী। বাকিদের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে সাধারণ নাগরিকদের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সৌদি আরব থেকে যে নারীরা দেশে ফিরতে চান তাদের দ্রুত দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়। এতে নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত নতুন কোনো নারী শ্রমিক সৌদি আরব না পাঠানোর দাবিও জানানো হয়েছে।