নিজস্ব প্রতিবেদক:
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে কোম্পানিটির প্রশাসক। বরখাস্তকৃত পাঁচ কর্মকর্তার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সোনালী লাইফের প্রশাসকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আজ মঙ্গলবার সোনালী লাইফের প্রধান কার্যলায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে অস্থির হয়ে পড়েছে কোম্পানির কার্যক্রম।
এর আগে গত রোববার কোম্পানির শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন প্রশাসক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফেরদৌস। তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সনদ জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়।
সোনালী লাইফের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ রেজাউল করিম অর্থ বাংলা ডটকমকে বলেন, সোনালী লাইফের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং আমাদের কর্মকর্তাদের বরখাস্ত আদেশ ও প্রশাসকের পদত্যাগ ও সাবেক পরিচালনা পর্ষদকে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবিতে আমাদের আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচি । দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এ বিষয়ে সোনালী লাইফের প্রশাসক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফেরদৌস অর্থ বাংলা ডটকম কে বলেন, “এই পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ইনসেনটিভের নামে ৩০ লাখ টাকা করে গ্রহণ, প্রশাসককে সহযোগিতা না করার জন্য অন্য কর্মকর্তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ করে প্রশাসক ও আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ দাখিল এবং কোম্পানির উন্নয়ন কর্মীদের মাঝে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে প্রশাসকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ , কমিশনের অর্থকে বেতন বলে মাঠকর্মীদের মাঝে অপপ্রচার এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার একদিন আগে তিনি ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্যাশ ইনসেনটিভ নোট উপস্থাপন করে অনুমোদন করিয়ে নেন। এই ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার মধ্য থেকে তিনি নিজে ৩০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।
এর আগে এসব কর্মকর্তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে অনিয়মের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। কিন্তু তাদের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন প্রশাসক।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাফী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আজিম এবং সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ।
এছাড়া অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলামের বরখাস্তের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি শিক্ষা সনদ জাল দিয়ে চাকরি নিয়েছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে সোনালী লাইফ কর্তৃপক্ষ, যা বিমা আইন ২০১০ এবং ফৌজদারি অপরাধ।