সোনার দাম পৌঁছাতে পারে ৩,৭০০ ডলারে: গোল্ডম্যান স্যাক্সের পূর্বাভাস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কনীতির প্রভাব বিশ্ববাজারে স্পষ্টভাবে পড়ছে সোনার দামে। বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাক্স জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ সোনার দাম প্রতি আউন্সে ৩,৭০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে।

এর আগে প্রতিষ্ঠানটি আউন্সপ্রতি ৩,৩০০ ডলার দামের পূর্বাভাস দিয়েছিল। এবার তারা বলছে, সোনার দাম ৩,৬৫০ থেকে ৩,৯৫০ ডলার পর্যন্ত উঠানামা করতে পারে। তাদের মতে, মূলত বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং সোনাভিত্তিক ইটিএফে (ETF) বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনার ভিত্তিতেই এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যদি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়, তাহলে বছরের শেষ নাগাদ সোনার দাম পৌঁছাতে পারে ৩,৮৮০ ডলারে। তবে গোল্ডম্যান স্যাক্স সতর্ক করে বলেছে, যদি নীতিগত অনিশ্চয়তা দূর হয়, তাহলে সোনাভিত্তিক ইটিএফে বিনিয়োগ কমে যেতে পারে এবং সেক্ষেত্রে দাম সর্বোচ্চ ৩,৫৫০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, ২০২৫ সালে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মাসিক সোনার চাহিদা ৮০ মেট্রিক টনে পৌঁছাতে পারে, যা গত বছর ছিল ৭০ মেট্রিক টন।

গোল্ড প্রাইস ডট অর্গ অনুসারে, বিশ্ববাজারে আজ সোনার দাম সামান্য হ্রাস পেয়ে আউন্সপ্রতি ৩,৩১৫ ডলারে এসেছে, যা এক ডলারের কম হ্রাস। গত এক মাসে সোনার দাম বেড়েছে ২৭৯ ডলার, আর গত এক বছরে বেড়েছে ৯২৬ ডলার।

সোনার ব্যবহার ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হচ্ছে। শুধু গয়না নয়, এখন সোনার বার, ইটিএফ, ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ হিসেবেও এর চাহিদা বাড়ছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সারা বিশ্বে ৪,৯৭৪ টন সোনা বেচাকেনা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, টানা তৃতীয় বছরের মতো বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ১,০০০ টনের বেশি সোনা কিনেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সোনা কিনেছে পোল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক—মোট ৯০ টন।

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশের বাজারেও সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে।

জেএস