সিলেটে কালবৈশা‌খীর সঙ্গে বিশাল আকারের শিলা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

সিলেটে হঠাৎ কালবৈশাখীর সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আকাশ থেকে পড়া বড় বড় শিলাখণ্ডের আঘাতে নগরীর অনেক বাসাবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গেছে। যানবাহনেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে এই ঝড় হয়। এতে বোরোসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের পর পুরো সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত থেমে থেমে ৮৮.১ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সজীব বলেন, বছরের এই সময়ে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিকে কালবৈশাখী বলা হয়ে থাকে। কালবৈশাখীতে শিলাবৃষ্টি হয়।

সিলেট সদর উপজেলার পশ্চিদর্শা গ্রামের বাসিন্দা আনাস হাবিব কলিন্স বলেন, এত বড় শিলা এর আগে কখনো দেখেননি। শিলাবৃষ্টির কারণে তাদের এলাকায় একটি গ্যাস রাইজারে আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সিলেট নগরীর মীরের ময়দান এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা চালক রুবেল বলেন, রাতে তিনি গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন। ঝড়ের কবলে পড়লে শিলার আঘাতে সিএনজি অটোরিকশার গ্লাস ভেঙ্গে যায়।

ঈদের কেনাকাটায় বের হওয়া ইমরান জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে নয়াসড়ক এলাকায় গাড়ি রাস্তার পাশে রেখে কেনাকাটা করতে একটি দোকানে গিয়েছিলেন। দোকন থেকে বের হয়ে তিনি তার প্রাইভেট কারের সামনের এবং পেছনের কাচ ভাঙা অবস্থায় পেয়েছেন।

অপরদিকে আকাশ থেকে পড়া বড় বড় শিলাখণ্ডের আঘাতে এখন পর্যন্ত অনেকেই আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজন সিলেটের গোলাপগঞ্জের বিলাল আহমদ (৪০)। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জনি চৌধুরী।

ঝড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সঞ্চালন লাইনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে ধীরে সরবরাহ স্বাভাবিক হচ্ছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

এন এস