‘সাংবাদিকদের কাজে আমরা কেউ সন্তুষ্ট থাকি না। এ জন্য সাংবাদিকতাকে বলা হয় থ্যাংকসলেস জব। প্রশংসাসূচক সংবাদ হলে আমরা খুব খুশি হই, কিন্তু অনিয়ম-দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনার সংবাদ হলে আমরা খুশি হতে পারি না’, বলেছেন, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘রূপসী বাংলা’ শীর্ষক জাতীয় ফটো প্রদর্শনী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আটজন পুরস্কারপ্রাপ্ত ফটো জার্নালিস্টের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন মন্ত্রী।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের সৃষ্টিই তাদের অমরত্ব দিতে পারে। একজন ভালো সাংবাদিকের কোনও বন্ধু থাকে না। তারা কঠিনকে ভালোবাসেন।… তাদের বৈচিত্র্যময় জীবনে আনন্দের চেয়ে বেদনার মুহূর্ত প্রবল। তাদের অনবদ্য সৃষ্টি অনেক সময় অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দেয়। ভবিষ্যতে চলার পথ নির্দেশ করে।’
সাংবাদিকরা অনেক সময় প্রয়োজনীয় বেতন-ভাতা পান না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক অত্যন্ত কষ্টদায়ক জীবনযাপন করেন। অনেকেরই মালিকপক্ষের কঠোর আচরণ সইতে হয়। তাদের স্বকীয়তা বিকাশের জায়গা সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। তবে, এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন গণমাধ্যম সাংবাদিকদের বিকাশের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’
খবর সংগ্রহের সময় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করায় ফটো সাংবাদিকদের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘ফটো সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্রে অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। তবু নৈপুণ্য দিয়ে নির্মল ও নির্ভেজালভাবে ফটো সাংবাদিকরা তথ্য উপস্থাপন করেন, যা অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্টাররাও পারেন না।’
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ এনায়েত করিম, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা।