সকালে বাবার মৃত্যু, কাঁদতে কাঁদতে বিকেলে মারা গেলেন মেয়েও

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় বাবার মৃত্যুর ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে মারা গেলেন মেয়েও। বাবা হারানোর শোকে কাঁদতে কাঁদতে তিনি অজ্ঞান হয়ে খাট থেকে পড়ে যান। পড়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের মো. চন্দন খান (৬০) ও তার মেয়ে মিতু সুলতানা (২০)। মিতু নেত্রকোনা সরকারি মহিলা কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।মিতু সুলতানার চাচাতো ভাই আকিকুল ইসলাম খান সানি বলেন, আমার চাচা চন্দন খান দীর্ঘদিন দূরারোগ্য রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে বাড়ির সবাই শোকে মুহ্যমান ছিলেন। মিতু তার অন্য দুই বোনের সঙ্গে বসতঘরের একটি খাটে বসে কাঁদছিলেন। তিনি বোনদের মাঝে সবার ছোট। কিছুতেই তার কান্না থামানো যাচ্ছিল না। দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং খাট থেকে পড়ে যান। দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বিকেল ৩টার দিকে মারা যান।

বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পল্টন সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।