শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে জমা হলো ৬০০ কোটি টাকা

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে এখন পর্যন্ত ৬০০ কোটি জমা হয়েছে। সর্বশেষ মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও বেক্সিমকো গ্রুপের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং নুভিস্তা ফার্মা তাদের গত এক বছরের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ ৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এ তহবিলে জমা দিয়েছে।

গতকাল সচিবালয়ে কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা নিজ নিজ কোম্পানির পক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের কাছে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ৪১ হাজার ২৪১ টাকার চেক হস্তান্তর করে।

চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক জেবুন্নেছা করিম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, মোবাইল কোম্পানি রবির চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোহাম্মদ শাহেদুল আলম এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট শরীফ শাহ জামাল রাজ, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক (অ্যাকাউন্টস) জামাল আহমেদ চৌধুরী, হেড অব হিউম্যান রিসোর্স এমএ এরশাদ, সহকারী ম্যানেজার মো. আরিফ-উল-ইসলাম, পরিচালক (ইন্ডাস্ট্রিয়াল অপারেশন) খন্দকার মো. আল মামুন, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সিবিএ সভাপতি সাদিকুর রহমান এবং হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পক্ষে প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ খান ২ কোটি ৭৬ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮০ টাকা, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ২ কোটি ১৬ লাখ ১৪ হাজার ১৩৭ টাকা, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড ও নোভিস্তা ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ১ কোটি ৯৫ লাখ ৫১ হাজার ৮২৬ টাকা এবং ৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৯৮ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।

বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী কোনো কোম্পানির লাভের এক-দশমাংশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা প্রদানের বিধান রয়েছে। এ পর্যন্ত ২১৭টি দেশী-বিদেশী এবং বহুজাতিক কোম্পানি ৬০০ কোটি টাকা এ তহবিলে জমা দিয়েছে। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিকদের মৃত্যুজনিত, দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা এবং তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়।