দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকলেও ক্রেতা সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা। গাছ গজিয়ে যাওয়ায় মসলাপণ্যটি কিনতে চাচ্ছেন না পাইকাররা। তাছাড়া নতুন করে শুল্ক বাড়ার কারণে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসান গুণতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, গত ১ জানুয়ারি থেকে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক ৫ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ১০ ভাগ নির্ধারণ করেছে সরকার। ফলে লোকসান হচ্ছে।
বর্তমানে বন্দরে ইন্দোর জাতের পুরানো পেঁয়াজ ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ইন্দোর জাতের নতুন ছোট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ টাকায়। ইন্দোর জাতের নতুন মোটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকায়। এছাড়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪১ থেকে ৪২ টাকা করে।
অপর ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বন্দর দিয়ে যে আমদানি হচ্ছে ব্যাপক শীত ও অতিরিক্ত ময়েশ্চারের কারণে পেঁয়াজে গাছ হয়ে যাচ্ছে। বাইরে থেকে যারা পেঁয়াজ কিনতে আসছেন দাম কম হলেও তারা এখন আর নিতে চাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগে যেখানে বন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক আমদানি হতো এখন তা কমে ১৫ থেকে ২০ ট্রাকে নেমেছে, কখনো ১০ ট্রাকে নামছে। পেঁয়াজ যেহেতু দ্রুত পচনশীল তাই এটি অবিলম্বে খালাসের সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।