বিভিন্ন সময় ফেসবুকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো প্রযুক্তি জায়ান্টটির খ্যাতির নিচে চাপা পড়ে গেছে। কিন্তু নতুন একটি অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটিকে বড় ধরনের চাপের মুখে ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাপগুলো ব্যবহারের কারণে শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি জানার পরও তা এড়িয়ে গেছে ফেসবুক। এ অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে বলেও জানান তারা। খবর এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের কাছে সাক্ষ্য দেয়ার সময় ফেসবুকের সাবেক কর্মী ও প্রতিষ্ঠানটির তথ্য ফাঁসকারী ফ্রান্সিস হৌগেন এ অভিযোগ তোলেন। এর একদিন পরও দেখা গেছে ফেসবুক অন্যান্য আইন ও বিধিনিষেধের প্রতি ঠিকঠাকভাবেই মেনে চলছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র বলছে, ফেসবুক জানত, মাধ্যমটির টুলগুলো শিশু ও তরুণদের মাঝে খাদ্যগ্রহণজনিত বৈকল্য ও আত্মহত্যা প্রবণতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টার্ন সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নির্বাহী পরিচালক পল ব্যারেট জানান, ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপগুলো শিশুদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এটি এমন একটি বিষয় যাতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরাও একমত হবেন।
মার্কিন থিংক ট্যাংক ফ্রিডম হাউজের টেকনোলজি অ্যান্ড ডেমোক্রেসি বিভাগের ঊর্ধ্বতন বিশ্লেষক এলি ফাঙ্ক বলেন, কিছু রাজনৈতিক ইস্যু সাধারণ জনগণকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে। এর মধ্যে অন্যতম একটি শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। শিশুদের ঝুঁকির বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার মতো ছোট কোনো বিষয় নয়।