লাল মিয়ার ‘গাঁজার দোকান’!

বরগুনার বেতাগী পৌর শহরের কাঁচা বাজার সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটের কেয়ারটেকার প্রতিবন্ধী লাল মিয়াকে (৪৭) গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে, ১১ অক্টোবর দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লাল মিয়ার ব্যবহৃত হুইল চেয়ার তল্লাশী করে একটি প্লাস্টিকের বক্সের মধ্যে গাঁজার প্যাকেট পায় পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, লাল মিয়া প্রতিবন্ধী হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করত। মানুষের ভালবাসার আড়লে লাল দীর্ঘদিন যাবত গাঁজা বিক্রি করে আসছিল। তবে তার পেছনে বড় বড় মাদক কারবারিদের হাত রয়েছে বলে দাবি তাদের।

জানা গেছে, জন্ম প্রতিবন্ধী লাল মিয়ার দুই পা পঙ্গু। বয়স ৪৭ কোঠায়। স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাঁর পরিবার। পার্শ্ববর্তী বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার শিয়ালবুনিয়া গ্রাম থেকে ২০০৪ সালে বেতাগীতে আসেন। এরপর এই অঞ্চলে ১০ থেকে ১২ বছর ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পরে সরকারি আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও তিনি বেতাগী পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ আট বছর ধরে শহরের কাচাঁবাজার সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটের লিজ নিয়েছেন। এই পাবলিক টয়লেটের পাশে হুইল চেয়ারে বসে পান-সিগারেটের দোকান দিতেন। এই দোকানের আড়ালে তিনি গাঁজা কেনা-বেচা চালিয়ে যেতেনে।

স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী জানান, লাল মিয়া যেদিন থেকে কাঁচা বাজার সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটের লিজ নিয়ে এখানে এসেছে সেদিন থেকে তিনি গাঁজা বিক্রি করছেন।

বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, লাল মিয়ার কাছে ১০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২ অক্টোবর সকালে মাদক দ্রব্য সেবন ও বিক্রির অপরাধে বেতাগী থানায় মামলা হয়েছে এবং আদালতে প্রেরণ করেছে।

ওসি আরো বলেন, লাল মিয়া কিভাবে গাঁজা সংগ্রহ করে সেসব তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে। তবে এর পিছনে অন্য কোন অপশক্তি আছে কিনা সব কিছুই সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।