গত বছর রিয়েল এস্টেট খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঋণ প্রদান করেছে সৌদি আরবের বিভিন্ন ব্যাংক। এ সময় এর আগের বছরের তুলনায় রিয়েল এস্টেট খাতে সৌদি ব্যাংকগুলোর ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। সম্প্রতি সৌদি সেন্ট্রাল ব্যাংক (এসএএমএ) কর্তৃক প্রকাশিত এক তথ্যে এমনটা দেখা যায়। খবর আরব নিউজ।
এর আগের বছরের তুলনায় ২০২১ সালে ব্যক্তিপর্যায়ে দেয়া মোট রিয়েল এস্টেট ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ। এ সময় ব্যক্তিপর্যায়ে দেয়া রিয়েল এস্টেট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৪ হাজার ৬০০ কোটি রিয়াল (১১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার)। এ সময় করপোরেট পর্যায়ে দেয়া রিয়েল এস্টেট ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
২০২১ সালে ব্যাংকগুলোর দেয়া রিয়েল এস্টেট ঋণের ৭৮ শতাংশই খুচরা ঋণ। সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অধীনে হাউজিং রিয়ালাইজেশন প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এসব ঋণ বিতরণ করা হয়। এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটির নাগরিকদের অন্তত ৭০ শতাংশের জন্য বাড়ির মালিকানা নিশ্চিত করা।
লন্ডনভিত্তিক অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ রামাদির মতে, খুচরা খাতের জন্য বন্ধকী ব্যাংক অর্থায়ন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিশেষ করে গৃহ, অ্যাপার্টমেন্ট ও জমিতে এসব ঋণ দেয়া হয়েছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিক নাগাদ এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৫৭০ কোটি রিয়াল।
রামদি আরো জানান, এটিও লক্ষণীয় যে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে স্থিতিশীল থাকা বন্ধকী অর্থায়নের পরিমাণ মার্চে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। মার্চে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৫২০ কোটি রিয়াল। এটি ভিশন-২০৩০-এর আলোকে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে প্রতিটি সৌদি নাগরিকের জন্য ব্যক্তিগত বাসভবন নিশ্চিত করার যে সরকারি প্রতিশ্রুতি তাকে নির্দেশ করে।
ভিশন ২০৩০-এর অধীনে এ উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের আবেদনকারীদের এবং অবসরপ্রাপ্ত ও অন্যান্য গোষ্ঠীর জন্য বন্ধকী গ্যারান্টি প্রদান করা। সাধারণত এসব গোষ্ঠীর জন্য ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদানের সীমাবদ্ধতার কারণে অর্থায়ন করার সুযোগ খুবই সীমিত থাকে। এ উদ্যোগের মধ্যে আরো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৪৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের কোনো ব্যক্তির প্রথম গৃহ নির্মাণের জন্য মূল্য পরিশোধ করার ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেয়া।
বহুজাতিক পেশাজীবী পরিষেবা নেটওয়ার্ক ডেলয়েটের এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিনিয়োগকারীদের জন্য বন্ধকী-সমর্থিত সিকিউরিটিজগুলোকে উৎসাহিত করা। সৌদি রিয়েল এস্টেট রিফাইন্যান্স কোম্পানি সৃষ্টির মাধ্যমে এমন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছিল, যা ২০১৭ সালে সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের আওতায় গঠিত হয়েছিল।