এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা
রাসায়নিক খাতের উন্নয়নে সরকারি সহযোগিতার দাবি

খাদ্য, চাষাবাদ, তৈরি পোশাকসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে রাসায়নিকের ব্যবহার হয়। বিশাল সম্ভাবনাময় এ খাতের বড় একটি বাজার বাংলাদেশ। আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে দেশেই রাসায়নিক কারখানা প্রতিষ্ঠা ও এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহায়তা চান ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ট্রেড লাইসেন্সপ্রাপ্তি সহজীকরণ ও সরকার নির্ধারিত স্থানে বরাদ্দকৃত জমির দ্রুত হস্তান্তর চান তারা। শনিবার সকালে এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত রাসায়নিক ও পারফিউমারি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘রাসায়নিকের ব্যবহার এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক শিল্প-কারখানা আছে যেগুলো রাসায়নিক ছাড়া চলে না। কিন্তু এর ব্যবহার পরিকল্পিত ও সুরক্ষিত হতে হবে। ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স দরকার। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া প্রতিষ্ঠান ও কারখানা কমপ্লায়েন্সের বাইরে চলে যাবে।’ ব্যবসায়ীদের রাসায়নিকের গুদাম ও কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় জমি বিতরণ ও ট্রেড লাইসেন্সপ্রাপ্তিতে সরকারের সহযোগিতা চান তিনি। বিশাল সম্ভাবনাময় এ শিল্পের সমস্যা সমাধানে সরকারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এফবিসিসিআই আলোচনা করবে বলেও জানান মাহবুবুল আলম।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাসিড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ পলাশ। তিনি বলেন, ‘রাসায়নিক বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে অবদান রাখছে।’ আমদানি কমিয়ে রফতানি বাড়াতে নতুন প্রজন্মকে দেশে রাসায়নিকের কারখানা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথরিটি ফর কেমিক্যাল ওয়েপনস কনভেনশনের (বিএনএসিডব্লিউসি) উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফয়সালুর রহমান। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, এফবিসিসিআই ফায়ার সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মো. শহিদ উল্লাহ, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।

এন এস