অর্থবাংলা : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নে চর উমাজুড়ি গ্রামে শুক্রবার রাতে ঘেরের পাড়ে লাগানো হাজার হাজার টমেটো গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। দিনের আলো ফুটতেই গাছগুলো ঢলে পড়েছে।ভুক্তভোগী কৃষক বলছেন, তিনি এখন অর্থনৈতিকভাবে সর্বস্বান্ত হয়ে গেলেন।
জানা গেছে, মো. শামীম মোল্লা, মো. লাকায়েত হোসেন মোল্লা ও কামরুল সরদারের প্রায় সাড়ে পাঁচ একর জায়গায় লাগানো গাছ উজাড়। দিনের আলো ফুটতেই গাছগুলো ঢলে পড়েছে। ক্রমান্বয়ে সেগুলো শুকিয়ে গেছে।
শামীম মোল্লা বলেন, ‘আমি রাতে ঘেরের পাড়ের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। আনুমানিক আড়াইটা থেকে তিনটার দিকে অস্বাভাবিক কিছুর শব্দে জেগে উঠে লাইটের আলোতে দেখি কিছু লোক দৌড়ে পালাচ্ছে। এদের কয়েকজন আমার চেনা। পাশের উপজেলা নাজিরপুরের পশ্চিম চরবানিয়ারী গ্রামের কাসেম সরদারের ছেলে মো. মজিবর রহমান সরদার (৫৫), জব্বার সর্দারের পুত্র আসাদ সর্দার (৩০), ইসমাইল ফকিরের পুত্র হালিম ফকির (৪৫), আসমত সরদারের পুত্র নয়ন সরদার (৩০) ও মোবারক শিকদারের পুত্র এবাদুল শিকদার (৩৫) ছিল দলে।’
লাকায়েত হোসেন মোল্লার ঘেরের দুই হাজার গাছ এবং কামরুল সর্দারের ঘেরের প্রায় দুই হাজার গাছও একই ভাবে কাটা হয়েছে। এভাবে মোট ৯ হাজার গাছ নষ্ট করা হয়েছে।
সন্তোষপুর ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম সর্দার বলেন, ‘নাজিরপুরের সঙ্গে আমাদের চিতলমারীর সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা রয়েছে। যার কারণে এলাকায় মাঝে মাঝে এমন অঘটন ঘটে থাকে। নাজিরপুরের লোকজন আমাদের চিতলমারীর সীমানার ভেতরে ঢুকে প্রায়ই ক্ষয়ক্ষতি করে। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই। যারা এমনভাবে এই গাছগুলো কেটে রেখেছে তাদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরীফুল হক বলেন, ‘সংবাদ পাওয়ার পরেই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওখানে দুই উপজেলার সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা রয়েছে। তারই জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া আমি পাশের পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’