বিদেশি ও প্রবাসীদের বিনিয়োগ আর্কষণে আগামী ৪ নভেম্বর যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হচ্ছে। দেশটির রাজধানী লন্ডনে রানী এলিজাবেথের চার্চিল অটিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন হবে। ৮ নভেম্বর দেশটির বৃহত্তম বাণিজ্যিক শহর ম্যানচেস্টারের সেন্টার কনভেনশন কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠানের শেষ হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রকসংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আয়োজনে পুরো প্রোগ্রামের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার’। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতির নীতি নির্ধারকরা অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (বিডা) মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ ব্যাপারে আয়োজক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বিদেশের মাটিতে চতুর্থবারের মতো এই রোড শো হতে যাচ্ছে। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র এবং সুইজারল্যান্ডে রোড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে তুলে ধরে বিদেশি প্রবাসী বিনিয়োগ আর্কষণ এই আয়োজনের উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতা, বিনিয়োগ, বাণিজ্য, বাংলাদেশি পণ্য ও সেবা, শেয়ারবাজার এবং বন্ড মার্কেটকে তুলে ধরা হবে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৯ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে প্রথম রোড শো শুরু হয়। এরপর ২৬ জুলাই থেকে ২ আগষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, লসএঞ্জেলেসে এবং ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ ও জেনেভায় বাংলাদেশের অর্থনীতি বিষয়ক রোড শো অনুষ্ঠিত হয়। এসব অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল বিদেশি ও অনিবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ আকর্ষণ। বিশেষ করে প্রবাসীরা যাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে সে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তবে এবারের আয়োজনের একটু ভিন্নতা রয়েছে। এখানে দেশের আর্থিকখাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্তারা অংশ নেবেন। যুক্তরাজ্যের প্রবাসীদের মধ্যেও এনিয়ে ব্যাপক উৎসাহ রয়েছে। আয়োজকদের প্রত্যাশা এটি সফলভাবে শেষ হলে, দেশে বড় ধরনের বিনিয়োগ আসবে।
লন্ডনের প্রোগ্রামে মোট তিনটি সেশন। প্রথম উদ্ধোধনী সেশনে টেকসই উন্নয়ন, দ্বিতীয় সেশনে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা এবং তৃতীয় সেশনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে তুলে ধরা হবে। তবে ম্যানচেস্টারে একটি সেশন। সেখানে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে।
আয়োজকরা জানান যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানীর পরে বাংলাদেশি পণ্যের তৃতীয় বৃহত্তম রফতানির দেশ যুক্তরাজ্য। উভয় দেশের স্বার্থে এই অবস্থার আরও উন্নয়ন চায় বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল প্রবাসী, দেশটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।