অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে এ বিয়েকে ঘিরে। অবশেষে রাজত্ব হারানো বিয়ে সম্পন্ন হলো জাপানি রাজকুমারীর। মঙ্গলবার প্রেমিক কেই কোমুরোকে বিয়ে করেন জাপানের রাজকুমারী মাকো। বিয়ের কারণে তিনি হারালেন তার রাজমর্যাদা। জাপানি আইন অনুসারে রাজ পরিবারের সদস্যরা সাধারণ কাউকে বিয়ে করলে তাদের রাজমর্যাদা হারায়।
জাপানি রাজবিয়েতে যেসব আচার পালন করা হয়, নিজের বিয়েতে সেসব করেননি রাজকুমারী। এমনকি রাজপরিবার ছেড়ে দিলে যে অর্থ সরবরাহ করা হয় সেটাও প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। মাকোই রাজপরিবারের প্রথম নারী যিনি এ দুটি প্রত্যাখ্যান করলেন।
ধারণা করা হচ্ছে, বিয়ের পর নবদম্পতি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবেন। সেখানেই কোমুরো আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এভাবে রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে বিয়ে করায় অনেকেই তাদের জাপানের মেগান মারকেল ও প্রিন্স হ্যারি হিসেবে অ্যাখ্যা দিচ্ছেন।
নিজেদের প্রেমের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই কটাক্ষের শিকার হয়েছেন কোমুরো। সম্প্রতি জাপান থেকে ফেরার সময় চুল বাঁধার কারণেও সমালোচনার শিকার হন তিনি।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাজকুমারী মাকো বলেন, যেসব অসুবিধা তৈরি হয়েছে সেসবের জন্য দুঃখিত আর যারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ। আমার জন্য কেইয়ের কোনো বিকল্প নেই। তাই বিয়েটা আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় ছিলো।
কোমুরো বলেন, আমি মাকোকে ভালোবাসি। আমাদের জীবন একটাই এবং আমি সেই জীবনা তার সাথেই কাটাতে চাই, যাকে ভালোবাসি। ভুল অভিযোগে মাকোকে মানসিক ও শারিরীকভাবে অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে সেজন্য আমার খারাপ লাগছে।
সদ্য সাবেক হওয়া জাপানি রাজকুমারীর ২০১৭ সালে কোমুরোর সঙ্গে বাগদান হয়। কথা ছিলো পরের বছরই বিয়ে সারবেন তারা। কিন্তু অভিযোগ ওঠে কোমুরোর মায়ের অর্থনৈতিক সংকট থাকায় তিনি তার প্রাক্তন বাগদত্তর কাছ থেকে টাকা ধার নেন। কিন্তু তিনি সেটা আর ফেরত দেননি।
যদিও রাজপ্যালেস বলেছে, বিয়ে পেছানোর সঙ্গে এর কোনো সংযোগ নেই। তবে ক্রাউন প্রিন্স ফুমিহিতো বলেছিলেন, বিয়ের আগেই এসব অর্থনৈতিক বিষয় সমাধান হওয়া উচিত।
অনেকের মতে, কোমুরোর বিরুদ্ধচারণের পেছনে মূল কারণ ছিলো কিছু রক্ষণশীল জাপানি যারা মনে করেন তিনি রাজকুমারীর বর হওয়ার যোগ্য না। এমনকি রাজকুমারীর বিয়ের ঘটনায় কয়েক জায়গায় বিক্ষোভ হতেও দেখা গেছে।