সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মোবাইলে গেমস নিয়ে বিরোধে এক মাদরাসাপড়ুয়ার গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার অন্য তিন সহপাঠীর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় শাহরিয়ার ইসলাম সৌরভকে (১৬) হাসপাতালে নেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাড়াশ উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের দিঘরিয়া দারুল উলুম ইসলাহুল মুসলিমিন কওমী মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ওই রাতেই মুমূর্ষ অবস্থায় মাদরাসাছাত্র শাহরিয়ারকে প্রথমে তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাত ১২টার দিকে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শাহরিয়ার ইসলাম সৌরভ নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার পিপলা গ্রামের মহসীন আলীর ছেলে।
তাড়াশ থানার ওসি মো. ফজলে আশিক এ ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর ওই রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তবে ওই মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান জানান, মোবাইলে গেমস নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। আর এ কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
দিঘরিয়া দারুল উলুম ইসলাহুল মুসলিমিন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সিদ্দিকুর রহমানসহ একাধিক শিক্ষক জানান, মাদরাসার ছাত্র শাহরিয়ার সাথে তার অন্য তিন সহপাঠীর মোবাইল গেমস নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। আর এ বিরোধেকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহরিয়ার জায়গীর বাড়ি যাওয়ার পথে মনোহরপুর গ্রামীণ রাস্তায় পৌঁছলে তার তিন সহপাঠী তাকে ধরে মাটিতে ফেলে ধারাল চাকু দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করে।
এ সময় তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে তারা শাহরিয়ারকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে মাদরাসার শিক্ষক, ছাত্র ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান। সেখানে অবস্থায় অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তাড়াশ থানার ওসি মো. ফজলে আশিক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মোবাইল গেমস নিয়ে সৃষ্ট বিরোধেই এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আর আহত ছাত্রের অভিভাবকরা তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে তারা যখন আসবেন তখনই মামলা নেওয়া হবে।