মিলিকে পুড়িয়ে-পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ের সেই গৃহবধূ মিলি চক্রবর্তীকে আগুনে পুড়িয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) মামলার ভিসেরা রিপার্টে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঠাকুরগাঁও সিআইডি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, মিলি চক্রবর্তীর মৃত্যুর কারণ আমাদের কাছে এখন স্পষ্ট। মিলির ভিসেরা রিপোর্ট আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। সেই অনুযায়ী আমরা মামলার তদন্ত আরও বেগবান করবো।

তিনি বলেন, ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার আগেও আমরা নিশ্চিত ছিলাম এটা হত্যাকাণ্ড। মামলার তদন্তে জড়িত সন্দেহে আমরা দুজনকে গ্রেফতার করেছি।

এর আগে, গত ৮ জুলাই সকালে শহরের মোহাম্মদ আলী সড়কের পাশে নিজ বাসার গলি থেকে গৃহবধূ মিলি চক্রবর্তীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে শহর জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এর দুইদিন পর পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে। পরে গত ৫ আগষ্ট সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড বোঝার পরও পরিবার থেকে কোনো হত্যা মামলা না করায় সমালোচনা ও সন্দেহের তীর পরিবারের দিকেই যেতে থাকে। অনেকেই দাবি করেন, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে মিলির পরিবার।

এর কিছুদিন পর মিলি চক্রবর্তীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মেসেজ নিয়ে ঝামেলার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডির তদন্তে মিলির ছেলে অর্ক রায় ও শহরের বাসিন্দা বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম সোহাগের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।