ভ্রমণ, সেবা ও বস্ত্র খাতে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন

গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে ভ্রমণ ও অবকাশ, সেবা ও আবাসন এবং বস্ত্র খাতের শেয়ারে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে ভ্রমণ ও আবাসন খাতে ৯ দশমিক ৩, সেবা ও আবাসন খাতে ৮ দশমিক ৮ এবং বস্ত্র খাতে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। এছাড়া বিবিধ খাতে ৪ দশমিক ৮ ও চামড়া খাতে ২ দশমিক ৬ শতাংশ রিটার্ন এসেছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ঋণাত্মক রিটার্ন এসেছে সিমেন্ট খাতে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। এরপরের অবস্থানে রয়েছে সিরামিক খাত ২ দশমিক ২ শতাংশ। এ তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে টেলিকম, আইটি ও প্রকৌশল খাত।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগের সপ্তাহে ডিএসইএক্স ২৯ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বাড়লেও গত সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ৮৮ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে সূচকটি ৭ হাজার ১০৫ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৭ হাজার ১৭ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ১৯ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৬৩৫ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৬১৬ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫০৮ দশমিক ৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৫০১ দশমিক ৭১ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৯০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২৪টির, কমেছে ১৩৯টির, অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির। আর লেনদেন হয়নি ৪টির শেয়ার।

গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল বিবিধ খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। ১১ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। ওষুধ ও রসায়ন খাত ১০ দশমিক ৬ শতংশ নিয়ে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। পরের অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। পঞ্চম স্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। খাতটির লেনদেন ছিল ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এছাড়া পরের অবস্থানে রয়েছে জীবন বীমা, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং চামড়া খাত। খাত তিনটির লেনদেন হয়েছে যথাক্রমে ৬, ৫ দশমিক ৯ ও ৫ দশমিক ১ শতাংশ।